মোঃ রাসেল হোসেন, বশেমুরবিপ্রবিঃ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক শেষ করে স্নাতকোত্তর শুরু করেছেন। দ্বিতীয় সেমিস্টার শুরু হলেও পরীক্ষা এখনো বাকি। মাস্টার্সের গন্ডি না পেরুতেই আমেরিকায় পিএচডি প্রোগ্রামে ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ পেয়েছেন গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের শিক্ষার্থী তাওহীদ ইসলাম। তাওহীদ তিনি ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
আমেরিকার ‘ইউনিভার্সিটি অফ মিসিসিপি’ তে পিএইচডি প্রোগ্রামে ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপের সুযোগ পেয়েছেন তাওহীদ ইসলাম। তিনি ইউনিভার্সিটি অফ মিসিসিপিতে গ্রাজুয়েট স্কুল অব হেলথ সাইন্স এর ফিজিওলজি এন্ড বায়োফিজিক্স পিএইচডি করবেন।
এ বিষয়ে তাওহীদ ইসলাম বলেন “সকল প্রশংসা আল্লাহ তাআলার। আমার পিতা মাতার পরে আমার সকল শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। বি’ফার্ম কোর্সের শুরু থেকেই ফার্মেসী বিভাগের সম্মানিত শিক্ষকগণ আমাদের ক্যারিয়ার প্ল্যান করতে বলতেন, সেভাবে গবেষণাকে ক্যারিয়ার হিসেবে নেয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে থাকি। এখনো খুব সামান্যই শিখতে পেরেছি, অনেক পথ বাকি ইনশাআল্লাহ।”
বিভাগের শিক্ষকদের দেখানো পথে হেঁটে সফলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ড. মোঃ তরিকুল ইসলাম স্যার, ড. মোঃ আলী খান স্যার ও ড. রেজিনা রউফ ম্যাম্যের প্রতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা। তাদের কাছ থেকে রিকমেন্ডেশন পেয়েছি, অনেক বিষয় হাতে ধরে শিখিয়েছেন, সময় নিয়ে আমার জন্য লেটার লিখেছেন।
আসলে বিভাগের সকল শিক্ষকগণই অনেক আন্তরিক এবং শিক্ষার্থীদের জীবনকে সবসময় সহজতর করার জন্য চেষ্টা করেন। সহযোগিতা পেয়েছি অনেক সিনিয়র, জুনিয়র এবং প্রিয় সহপাঠীদের। ইউনিভার্সিটি অফ মিসিসিপি এর গ্রাজুয়েট স্কুল অব হেলথ সাইন্স এর ফিজিওলজি এন্ড বায়োফিজিক্স পিএইচডি প্রোগ্রামে আমার গবেষণার বিষয় হবে কার্ডিওভাসকু্ল্যার ডিজিজ এবং অটোইমিউন ডিজিজ। ভবিষ্যতের এই পথ যেন সাফল্যমন্ডিত হয় সেই জন্য সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী।
বিভাগের শিক্ষার্থীর এই সফলতায় উচ্ছ্বসিত বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে ফার্মেসি বিভাগের সভাপতি ড. মোহাম্মদ আলী খান বলেন, এটি আমাদের বড় একটা অর্জন এবং গর্বের বিষয়। তাওহীদ যেটি অর্জন করেছে, এটার পেছনে বিভাগের শিক্ষকদের নিরলস পরিশ্রম করেছে। তার অর্জন আমাদের বিভাগের সকল শিক্ষকদের, আমাদের বিভাগের; সর্বপরি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জন।
তিনি আরও বলেন, আমার মনে হয় আমাদের শিক্ষাথীরা আরো ভালো করবে এবং বড় বড় দেশে তারা উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাবে। বিভাগের সভাপতি হিসেবে আমি খুবই আনন্দিত এবং গর্ববোধ করছি যে একটা ছাত্র মাস্টার্স পাস করার আগেই সে ইউনিভার্সিটি অফ মিসিসিপি তে ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপের সুযোগ পেয়েছে।