আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মালয়েশিয়ার দুই রাজ্যে অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশিসহ ১৩৮ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। গতকাল শুক্রবার রাতে সেলাঙ্গর রাজ্যের আমপাংয়ের একটি শপিং সেন্টারে সমন্বিত অপ কুটিপ অভিযানে ৯২ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়। একই দিনে জোহর রাজ্য থেকে আরও ৪৬ জন অভিবাসী আটক হন।
শনিবার সেলাঙ্গরের জেআইএম-এর পরিচালক খায়রুল আমিনুস কামারউদ্দিন এক বিবৃতিতে জানান, আটকদের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার ৩১, বাংলাদেশের ১৬, আফগানিস্তানের ১০, পাকিস্তানের ৮, নেপালের ৪, থাইল্যান্ডের ৪, মায়ানমারের ৩, অস্ট্রেলিয়ার ৩, ভারতের ৩, ফিলিপাইনের ২, সেইসঙ্গে ইউরোপীয় এবং আফ্রিকান দেশগুলোর ৮ জন অভিবাসী রয়েছেন।
ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩ এবং ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ১৯৬৩ এর অধীনে আরও তদন্তে আটকদের সেলাঙ্গর জিআইএম এনফোর্সমেন্ট অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিচালক খায়রুল আমিনুস কামারউদ্দিন।
এদিকে জোহর ইমিগ্রেশন বিভাগ (জেআইএম) রাজ্যের চারটি জেলায় বেশ কয়েকটি অভিযান চালিয়ে ৪৬ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে। ১৭ থেকে ৫৩ বছর বয়সীরা যেখানে কাজ করতেন এবং শ্রমিকদের ডরমেটরিতে রাজ্যের মুয়ার, সেগামাট, মেরসিং এবং বাতু পাহাত শাখার এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের সমন্বয়ে অভিযান চালানো হয়।
রাজ্যের অভিবাসন বিভাগের পরিচালক, দাতুক মোহাম্মদ রুশদি মোহদ দারুস বলেছেন, ১ জানুয়ারি মুয়ারে ১৫, চাহের আশেপাশে সেগামাটে ১১, এন্ডাউ, মারসিং-এ ৯, বাতু পাহাতে ১১, মোট ৪৬ জন অভিবাসীকে আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে, ভারতের চারজন, ১৫ জন মায়ানমার পুরুষ ও দুজন নারী, তিনজন থাই পুরুষ ও চারজন নারী, পাঁচজন বাংলাদেশী, সাতজন ইন্দোনেশিয়ন পুরুষ, দুজন পাকিস্তানি পুরুষ এবং চারজন নেপালি পুরুষ নাগরিক রয়েছে।
এ ছাড়া বছরের প্রথম দিনে ৩ রাজ্যে অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশিসহ আটক করা হয় আরও ২৮৪ জনকে। এ নিয়ে মোট আটকের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪২২ জনে। গত বছরের মার্চ ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাধারণ ক্ষমা, সেচ্ছায় নিজ দেশে ফেরার কর্মসূচি শেষ হওয়ার পরপরই শুরু হয় দেশটিতে থাকা অবৈধ অভিবাসীদের আটকের অভিযান। চলমান অভিযানে তটস্থ হয়ে পড়েছেন বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের অবৈধ অভিবাসীরা।