The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণে বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের উদ্বেগ

জাবি প্রতিনিধিঃ ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের আচরণকে পক্ষপাতদুষ্ট উল্লেখ করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’।

শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সংগঠনটির সদস্য সচিব অধ্যাপক বশির আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে নিযুক্ত সকল রাষ্ট্রদূতের নিরপেক্ষ ও দায়িত্বশীল আচরণ আশা করে এদেশের জনগণ। এদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ ও একপাক্ষিক কর্মকান্ড অশোভন, গর্হিত ও শিষ্টাচার বহির্ভূত বলে বিবেচনা করা হয়। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস নির্দিষ্ট একটি দলের পক্ষ অবলম্বন করে তার কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন এবং সে লক্ষ্যে নানা সময় বক্তব্য-বিবৃতি দিচ্ছেন।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, গত বুধবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বিএনপির নিখোঁজ সাবেক এক নেতার বাসায় গিয়ে বিশেষ আলোচনা করেছেন। তিনি মানবাধিকারের দোহাই দিয়ে নিখোঁজ ব্যক্তির পক্ষে অবস্থান নিয়ে আলোচনায় অংশ নিলেও সমারিক শাসক জিয়াউর রহমানের শাসনামলে সহস্রাধিক গুম হওয়া সরকারি কর্মকর্তার স্বজনদের কথা কর্ণপাত করেননি। এমনকি ওই সকল জনহারা ব্যক্তিদের উদ্যোগে গঠিত ‘মায়ের কান্না’ নামের সংগঠনের নেতা-কর্মীদের দেওয়া স্মরকলিপিও গ্রহণ করেননি মার্কিন রাষ্ট্রদূত। এ সময় পিটার হাসের আচরণ ছিল অদায়িত্বসূলভ, অপেশাদারী এবং অংশত অমানবিক, যা ভিয়েনা কনভেনশনের (১৯৬১) সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এ ঘটনা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, রাষ্ট্রদূত পিটার হাস নির্দিষ্ট একটি গোষ্ঠীর স্বার্থসিদ্ধির জন্য অসৌজন্যমূলক এবং পক্ষপাতমূলক আচরণের মাধ্যমে তার কূটনৈতিক দায়িত্ব পালন করছেন।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সংবাদপত্রের মারফতে আমরা জানতে পারি যে, মায়ের কান্না নামের সংগঠনের নেতা-কর্মীদের কথা না শুনে ও তাদের স্মারকলিপি গ্রহণ না করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্থান ত্যাগ করেন, যা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের দ্বৈত আচরণের বহিঃপ্রকাশ। তিনি মুখে মানবাধিকারের কথা বললেও আদতে তিনি মানবাধিকার হরণের পন্থায় হাঁটছেন। বাংলাদেশের জনগণ এমন কোন রাষ্ট্রদূতের কাছে এহেন পাক্ষপাতদুষ্ট আচরণ আশা করে না।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশের সচেতন জনগণ হতাশ হয়েছে। এছাড়া পশ্চিমা দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতেরাও নানা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কথা বলছেন যা কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত ও স্বাধীন দেশের জনগণের জন্য অসম্মানজনক।

এসময় নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশে নিযুক্ত সকল রাষ্ট্রদূতের কাছে থেকে অধিকতর দায়িত্বশীল ও নিরপেক্ষ আচরণ কামনা করে বলেন, যেসব বিদেশী শক্তি মানবাধিকারের অজুহাতে আমাদের স্বাধীন দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নগ্নভাবে হস্তক্ষেপ করছে তাদের ব্যাপারে সরকারের সজাগ দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’ বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও মানবাধিকার রক্ষায় বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত নীতি আদর্শ ও কর্মপন্থাকে যথার্থ ও বাস্তবসম্মত বলে মনে করে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.