ফুলব্রাইট বৃত্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পড়ার সুযোগ পেতে আবেদনের সময় আবার বাড়ানো হয়েছে। ওয়াশিংটন ডিসি সময় আগামী ১৬ জুলাই রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত এই বৃত্তির জন্য আগ্রহী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। এর আগে এই বৃত্তির জন্য আবেদনের মেয়াদ ১ জুন থেকে বাড়িয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়েছিল। ঢাকার মার্কিন দূতাবাস তাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তি ও ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ফুলব্রাইট ফরেন স্টুডেন্ট প্রোগ্রাম ২০২৩-২৪ সেশনে অনুদান প্রদানের ঘোষণা দেয় ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের আমেরিকান সেন্টার। ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এ বছরের ফুলব্রাইট ভিজিটিং স্কলার প্রোগ্রামের আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে পূর্ণ অর্থায়নে অধ্যয়নের জন্য অনুদান প্রদানের আবেদন গ্রহণ করছে।
এই শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় স্নাতক ডিগ্রিধারী শিক্ষার্থী ও তরুণ পেশাজীবীরা সম্পূর্ণ বিনা খরচে যুক্তরাষ্ট্রে তাঁদের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পান। এই কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার জন্য অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন—বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে কর্মরত কনিষ্ঠ অনুষদ সদস্য; সরকারি ও বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান; বুদ্ধিবৃত্তিক সংগঠন ও এনজিওতে কর্মরত কনিষ্ঠ থেকে মধ্য-পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
ঢাকার আমেরিকান দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পাঠ্যক্রম প্রণয়ন, হেলথ অ্যান্ড মেডিকেল সায়েন্স, বায়োলজিক্যাল অ্যান্ড ফিজিক্যাল সায়েন্সেস, সোশ্যাল সায়েন্সেস, হিউম্যানিটিস, বিজনেস, ইকোনোমিকস, পাবলিক পলিসি, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস, আরবান প্ল্যানিং দ্য আর্টস, সাইকোলজি ও সিকিউরিটি স্টাডিজ বিষয়ে ডিগ্রি অর্জনে ফুলব্রাইট বৃত্তি দেওয়া হবে।
বৃত্তির সুবিধা
জে-১ ভিসার জন্য সহায়তা
যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া-আসার বিমানভাড়া
টিউশন ও শিক্ষাসংশ্লিষ্ট খরচ
থাকা, খাওয়া ও আনুষঙ্গিক ব্যয় মেটানোর জন্য মাসিক বৃত্তি
বইপত্র কেনার জন্য ভাতা
স্বাস্থ্য ও দুর্ঘটনা বিমা
ভ্রমণ ও ব্যাগেজ ভাতা।
যাঁরা আবেদন করতে পারবেন
বাংলাদেশের স্বীকৃত সরকারি বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলসহ ন্যূনতম চার বছর মেয়াদি স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
আগে কোনো আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি নেননি কিংবা বর্তমানে আমেরিকায় কোনো শিক্ষা কার্যক্রমে ভর্তি নন।
বাংলাদেশ ব্যতীত অন্য কোন দেশ থেকে আগে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেননি (তবে যাঁরা বাংলাদেশ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েছেন, তাঁরা যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন)।
যে বিষয়ে পড়তে যেতে ইচ্ছুক, সেই বিষয়ের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক/ সংশ্লিষ্ট কর্মক্ষেত্রে ন্যূনতম দুই বছরের পূর্ণকালীন কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
ইংরেজিতে সাবলীল ও পারদর্শী হতে হবে। ইন্টারনেটভিত্তিক (আইবিটি) টোফেলে (TOEFL) ন্যূনতম ৯০ কিংবা আইইএলটিএস (IELTS)-এ ন্যূনতম ৭ (সাত) স্কোর থাকতে হবে।
সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে।
আবেদনের সময় বাংলাদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিক হতে হবে।
আবেদনের সঙ্গে যা যা থাকতে হবে
১. অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।
২. উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা পরবর্তী সময়ে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেছেন, প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে নেওয়া (স্নাতক ও স্নাতকোত্তর) একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট (শিক্ষা প্রতিলিপি) ও সনদপত্র।
৩. তিনজন সুপারিশকারী পৃথকভাবে অনলাইন আবেদন পোর্টালে সরাসরি তিনটি সুপারিশপত্র আপলোড/ উপস্থাপন করবেন।
৪. একাডেমিক রেকর্ড–বিষয়ক তথ্যাদির ফরম (অনলাইন আবেদন সাইটে পাওয়া যাবে)।
৫. টোফেল/ আইইএলটিএসের স্কোর।
৬. যুক্তরাষ্ট্রে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা জিআরই (GRE) কিংবা জিম্যাট (GMAT) স্কোর থাকাও আবশ্যক। যদি কোন আবেদনকারী ইতিমধ্যে জিআরই কিংবা জিম্যাট পরীক্ষা দিয়ে থাকেন, তাহলে তাঁদের সেই পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরসংক্রান্ত তথ্য অনলাইন আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে হবে।
আবেদনকারী প্রার্থীদের করণীয়
অনলাইন আবেদন ফরম এই লিংকে পাওয়া যাবে। আবেদন করার জন্য আবেদনকারীকে একটি লগইন অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। পূর্ণাঙ্গ নির্দেশাবলি পাওয়া যাবে এই লিংকে। আরও বিস্তারিত জানতে ঢাকার আমেরিকান দূতাবাসের কালচারাল অ্যাফেয়ার্স স্পেশালিস্ট রায়হানা সুলতানার ই-মেইলে (sultanaR1@state.gov) যোগাযোগ করা যেতে পারে।
আবেদনের শেষ সময়: আগামী ১৬ জুলাই রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত (ওয়াশিংটন ডিসি সময়)।