আমাদের পরিবারে নারীর ভালোবাসা সবসময় সবচেয়ে টেকসই শক্তি। আর তার একাগ্রতা, মমতা আর বুদ্ধিমত্তা দেখে আমরা আনন্দিত হই। তিনিই অভিভাবকের ভূমিকা পালনে সক্ষম ও মা হিসেবে সর্বত্র পরিচিত।
সম্প্রতি ‘আন্ডারস্টছান্ডিং মাদারস জেনেটিকস’ নামের এই সমীক্ষায় দেখা গেছে, মায়ের সঙ্গ, ছোঁয়া, আবেগ শিশুর আইকিউ উন্নত করে।
একজন শিশুর বুদ্ধিমত্তা নির্ভর করে তার মায়ের জিনের ওপর। সেখানে বাবার জিনের কোনো ভূমিকা নেই বললেই চলে।গবেষণায় দেখা যায়, শিশুর ইন্টালিজেন্স কোশেন্ট (আইকিউ) কতটা উন্নত হবে তা নির্ভর করে কন্ডিশনিং জিনের ওপর। এই জিন পুরোটাই শিশু তার মায়ের কাছ থেকে পায়।
প্রথমে একদল ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা করে এই তথ্য আবিষ্কার করেন গবেষকরা। পরীক্ষায় দেখা যায়, সদ্যোজাত ইঁদুরেরা যারা মায়ের জিন বেশি পেয়েছে তাদের মাথাটা বেশ বড়, দেহ ছোট, তারা অন্যগুলোর তুলনায় বুদ্ধিমানও বেশি । অন্যদিকে যে সব ইঁদুর ছানার শরীরে পুরুষ জিন বেশি, তাদের মাথাটা ছোট, দেহ বড়, তারা অপেক্ষাকৃত কম বুদ্ধিমান।
মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয় ১০০ জন শিশুর ওপর একটি পরীক্ষা করে। সেখানে দেখা যায়, যে সন্তানেরা মায়ের বেশি ঘনিষ্ঠ, মায়ের সঙ্গে বেশি সময় কাটায় তারা মাত্র দু’বছর বয়সে, বয়সের তুলনায় কঠিন ও জটিল কোনো খেলা যেমন ‘পাজল’ সমাধান করতে শেখে।
ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, মায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা শিশুর মস্তিষ্ক উন্নত করে। এছাড়া মায়ের ঘনিষ্ঠ শিশুরা কম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে।