The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪

মাভাবিপ্রবিতে পর্দা করায় শিক্ষার্থীকে হেনস্থার অভিযোগ অধ্যাপক ড. কানিজ মরিয়মের বিরুদ্ধে

মো.জাহিদ হোসেন, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি: মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে পরীক্ষার হলে পর্দা নিয়ে কটূক্তি ও হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কানিজ মরিয়ম আক্তাররের বিরুদ্ধে।

গত ১১ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং অনুষ্ঠিত সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার দিন ঘটে যাওয়া ঘটনা উল্লেখ করে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, আমি মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী। রিসেন্ট আমি পর্দা বিষয়ক কিছু সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি। পরপর ২দিন পরীক্ষার হলে নিকাব খোলা নিয়ে অনেক হ্যারেজমেন্ট এর শিকার হয়েছি। যেমন: সবার সামনে আমাকে নিকাব খোলার জন্য বলা হয়, তখন আমি একটু সাইডে গিয়ে বা আলাদা ভাবে দেখার কথা বললে এটা নিয়ে অনেক কথা শোনানো হয়, অনেক বাজে ভাবে অপমান করা হয়।

যেমন: ইসলামি শরীয়ায় কোথায় লিখা আছে মুখ ঢাকতেই হবে? আমি মুসলিম কান্ট্রি থেকে পিএইচডি ধারী, আর আমাকে ইসলামিক শরীয়াহ বুঝাও? এতদিন পড়াশোনা কিভাবে করছো? মুখ না খুলে ছবি উঠাও কিভাবে, ভাইভাতে কি করবা? ওইখানে তো মুখ দেখাইতেই হবে? এমন হইলে পড়ার ই দরকার নাই, এক্সাম ক্যান্সেল, তুমি চলে যাও, তোমার মতো মেয়েরা পড়তে আসে কেন, আমার তো মনে হচ্ছে তোমার সাথে কিছু আছে এজন্য তুমি মুখ খুলছো না (মানে নকল করার কথা বললো, মিথ্যা এলিগেশন) তখন আমি বলছি আমাকে আলাদাভাবে চেক করেন প্রবলেম নাই, তখন উনি বলেন, আলাদা ভাবে কিসের চেক করবো? খুললে সবার সামনেই খুলতে হবে! আরো অনেক কিছু বলছে অনেক ভাবে কথা শুনাইছে তাও আবার অনেক জোরে ভয়েসে, চিল্লায়ে চিল্লায়ে, তারপর ও আল্লাহর রহমতে মুখ খুলি নাই!

পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, “আমি এই ঘটনার সমাধান ও ন্যায়-বিচার চাই।”

ঘটনাস্থলের সামনের বেঞ্চে বসা শিক্ষার্থী মো. মেরাজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা উল্লেখ করে বলেন, “ওই সময় আমি সামনের বেঞ্চে বসে পরীক্ষা দিতেছিলাম এবং উল্লেখিত সকল অভিযোগেরই সত্যতা রয়েছে।”

ঘটনার বিস্তারিত উল্লেখ করে, উপস্থিত আরেক শিক্ষার্থী মো. কামরুজ্জামান বলেন, “কানিজ ম্যাম আগেও এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের সহপাঠীর সাথে। এবার আমরা সঠিক বিচার চাই।”

অভিযুক্ত অধ্যাপক ড. কানিজ মরিয়ম আক্তার সম্পূর্ন ঘটনাকে ভুল বুঝাবুঝি উল্লেখ করে বলেন, “আমরা আগামীকাল সবাই বসবো। আশা করি এই বিষয়ের সমাধান হবে।”

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.