ডেস্ক রিপোর্ট: দেশ থেকে ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থা উচ্ছেদ করতে হলে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানানোর পাশাপাশি সকলকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী।
শুক্রবার (০১ নভেম্বর) শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি’-এর তৃতীয় কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন হয়েছে। । অর্থনীতিতে ন্যায়বিচার নিশ্চিত না করে কোনো গণতন্ত্র চলতে পারে না। শ্রমজীবী মানুষের শ্রমিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। কল-কারখানার মালিকরা বেতন দিতে না পারলে সরকারকে শ্রমিকের মজুরি আদায় করে দিতে হবে। এ বিষয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এর বিরুদ্ধে সবাই সোচ্চার হতে হবে।
ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার সরকারের ঘটনাপ্রবাহ উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা পালানোর পর মানুষ একটা বিষয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ-একাত্তরের পর যা হয়নি, নব্বইয়ের পর যা হয়নি- সেটি এবার না হলে তারা মানবে না। ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থার বিলোপ চায় সবাই। সেই জায়গায় থেকে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশে আছি।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, গণতন্ত্রের জন্য অবশ্যই সুষ্ঠু নির্বাচন প্রয়োজন। কিন্তু সেটি নিশ্চিত করতে হলে আগে রাজনৈতিক বন্দোবস্ত নিশ্চিত করতে হবে। সেখানে গণতান্ত্রিক শ্রম আইন থাকবে। মালিক যদি তার ব্যর্থতার জন্য বেতন দিতে না পারে, তাহলে সেই দায় সরকারকে নিতে হবে।
নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নওরিন রশিদ, আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ, নারী সংহতি আন্দোলনের সভাপতি শ্যামলী শীল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। তৃতীয় কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের এ সভায় পোশাক শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে ১৮ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়।