মারুফ হোসেন মিশন, রাবি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, আজকের বিশ্বে মানুষ তার সম্ভাবনার সীমাহীন সময় কার্যকর, উৎপাদনশীলভাবে ব্যয় করবে এটাই প্রত্যাশিত। কিন্তু আর্থসামাজিক বিভিন্ন কারণে মানুষ বিচ্ছিন্নতা, হতাশা, ভবিষ্যত প্রশ্নে পরিকল্পনাহীনতা ইত্যাদি কারণে মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছে। এতে করে নানারকম মনো-সামাজিক ও মনো-দৈহিক সমস্যায় ভুগছে। এসব মানসিক সমস্যার কারণে দেশের সম্ভাবনাময় প্রজন্ম ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে। জাতির সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য এই অবস্থা নিবারণ একান্তই আবশ্যক।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মানসিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সুবিধাদি ও সেবা সম্প্রসারণের আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ইন্টার্নি তাসনিম তামান্না কনি’র সঞ্চালনায় তিনি আরো বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ও বিরাজমান এসব মানসিক সমস্যা র ঊর্ধ্বে নয়। ফলে ক্যাম্পাসে ও ক্যাম্পাসের বাইরে শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট অন্যদের নানাবিধ মনো-সামাজিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। সে জন্য বিভাগসমূহের মেনটর শিক্ষকদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মনোবিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে তার ইতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। আগামীতে এই কেন্দ্রটিকে সম্প্রসারণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও উপাচার্য জানান।
এসময় স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক আনোয়ারুল হাসান সুফির সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম ও অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর, স্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান মনোবিজ্ঞানী ড. সুলতানা নাজনীন, চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানী তানজির আহমদ তুষার, ইন্টার্নি কো-অর্ডিনেটর মাহদী হাসান, মেনটর শিক্ষক ও ইন্টার্নরা।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েই ২০১৭ সালে প্রথম মানসিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র চালু করা হয়। পাঁচ বছরে এখান থেকে প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এক বা একাধিকবার কেন্দ্রের মনোবিজ্ঞানীদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। বিভিন্ন বিভাগের ৬১ জন মেনটর শিক্ষকও শিক্ষার্থীদের মানসিক সমস্যায় প্রাথমিক পরামর্শ দেন।