বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) প্রধানের চেয়ারে বসার পর থেকেই ব্যস্ত সময় কাটছে ফারুক আহমেদের। শনিবার বিসিবি পরিচালকদের সঙ্গে নিয়ে পূর্বাচলে শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম পরিদর্শনে যান তিনি।
স্টেডিয়াম পরিদর্শন শেষে অগ্রাধিকার ভিত্তিতি দুটি খেলার মাঠ প্রস্তুতি জোর দেওয়ার কথা জানান এই বিসিবি প্রধান। সেই সঙ্গে এও জানিয়েছেন মাঠ করতে নৌকা বা স্কয়ার শেপের দরকার আছে বলে মনে করেন না তিনি।
পূর্বাচলে ৩৭ একর জমির ওপর নির্মিত হতে যাওয়া স্টেডিয়াম পরিদর্শন শেষে ফারুক বলেন, ‘দায়িত্ব নেওয়ার পর আমাদের প্রধান ইচ্ছা ছিল মাঠগুলোর উন্নতি। নতুন মাঠও যদি করতে পারি, সেটা নিয়েও চিন্তা করছিলাম। যেহেতু এটা আমাদের নিজস্ব জায়গা, এটা নিয়ে একটা পরিকল্পনা ছিল। এখন এটাকে আমরা যত দ্রুত মাঠের কাঠামোতে রূপ দিতে পারি, সে চেষ্টা করব। আমাদের যে মাঠগুলোর উন্নতি করার কথা, সেগুলোর সঙ্গে এটা যোগ হবে।’
ফারুক আরও বলেন, ‘আমরা ধাপে ধাপে যাব। এখানে দুটি মাঠ হওয়ার কথা ছিল, বড় স্টেডিয়াম হওয়ার কথা ছিল। এই মুহূর্তে আমরা এত বাজেট অ্যাফোর্ড করতে পারব না। সে জন্য প্রথমে একটা মাঠ দিয়ে শুরু করব, তারপর পাশের মাঠটা করার চেষ্টা করব। দ্রুতই মাঠের কাজ শুরু করব। এখন আমাদের অনেক ধরনের খেলা, আপনারা সবাই জানেন। বয়সভিত্তিক থেকে শুরু করে নারী ক্রিকেট, ক্লাব ক্রিকেট—অনেক খেলা। এখন সে জন্য মাঠটা তৈরি করব।’
নাজমুল হাসান পাপনের বোর্ড, পূর্বাচলে নির্মিত এই স্টেডিয়ামটিকে নিজস্ব অর্থায়নে, শেখ হাসিনার নামে করা ও নকশা হিসেবে নৌকার আদলে তৈরি করার কথা জানালেও এখন যে সেটা হচ্ছে না সেটিও পরিষ্কার করেছেন নতুন বিসিবি প্রধান।
স্টেডিয়ামে নৌকার প্রতিকৃতি থাকবে কি না, এ প্রসঙ্গে বোর্ড সভাপতির বক্তব্য, ‘মাঠ করতে তো নৌকা বা স্কয়ার শেপের দরকার নেই। মাঠ করতে ওভাল দরকার। মাঠ করতে যা দরকার, তা করব। এটা (শেখ হাসিনার নাম থাকবে কিনা) ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, ক্রিকেট বোর্ড মিলে সিদ্ধান্ত নেবে।’