শিক্ষার্থীদের ওপর বড় রকমের প্রভাব ফেলছে বন্যা। সরকারের তথ্যই বলছে, দেশের ১৮ জেলায় মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ের পৌনে ছয় লাখের বেশি শিক্ষার্থী বন্যাকবলিত। বন্যাকবলিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রায় ১ হাজার ১০০।
দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এসব তথ্য সংগ্রহ করেছে মাউশি।
বন্যার কারণে ইতিমধ্যে স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। পরিস্থিতি বিবেচনা করে আসন্ন ঈদের পর আবার এই পরীক্ষা নেওয়ার সময়সীমা ঘোষণা করা হবে বলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে।
বর্তমানে সিলেট, সুনামগঞ্জসহ দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় ভয়াবহ বন্যা চলছে।
মাউশি থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, গতকাল রোববার পর্যন্ত ১৮টি জেলার ৮৬টি উপজেলা বন্যাকবলিত। আর বন্যাকবলিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১ হাজার ৮৫টি। এর মধ্যে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনায় এই সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সিলেটেই ৩৪২টি প্রতিষ্ঠান বন্যাকবলিত হয়। আর সুনামগঞ্জে ২৬৫টি ও নেত্রকোনায় ১৩৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। অন্যদিকে ১৮টি জেলায় ৫ লাখ ৮৪ হাজার ৬৬৮ জন শিক্ষার্থী বন্যাকবলিত। সংগত কারণেই সিলেট ও সুনামগঞ্জে এই সংখ্যাটি বেশি।
মাউশি জানিয়েছে, গতকাল পর্যন্ত ৫৭০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৯১৭টিতে এখন পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব না। আংশিক সম্ভব ১০২টিতে।
শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী, আগামী ৩ থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত ১৫ দিন পবিত্র ঈদুল আজহা এবং গ্রীষ্মকালীন ছুটি আছে।
ওপরের তথ্যগুলোর মাউশির অধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পূর্ণাঙ্গ তথ্য জানা যায়নি। তবে সিলেট বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সিলেট অঞ্চলের চার জেলা সুনামগঞ্জ, সিলেট, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে মোট প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৫ হাজার ৫৪টি। এর মধ্যে গত বুধবার পর্যন্ত ৩ হাজার ১৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান স্থগিত ছিল। এর মধ্যে বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয় ১ হাজার ১৪৮টি বিদ্যালয়। তবে বন্যায় প্লাবিত বিদ্যালয়ের সংখ্যা ২ হাজার ৮২৮।