মহিষ চুরির মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার শাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নবী হোসাইনকে পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাকে বরখাস্ত করে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে।
জানা গেছে গরু ও মহিষ চুরিতে অভিযুক্ত এবং নানা অনিয়মের কারণে তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নিয়েছে স্থানীয় সরকার।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমীন প্রধান স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে চকরিয়া শাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নবী হোসাইনের চেয়ারম্যানের পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, শাহারবিল ইউপি চেয়ারম্যান নবী হোসাইনের বিরুদ্ধে বর্তমানে মহিষ চুরির রায় আছে। এই কারণে স্থানীয় সরকার আইনের বিধি মতে চেয়ারম্যান নবী হোসাইনকে বরখাস্ত করে চেয়ারম্যান শূন্য ঘোষণা করা হলো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহারবিল ইউটি চেয়ারম্যান নবী হোসাইন বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ষড়যন্ত্র করে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মহেশখালীর কুতুবজোমের তাজিয়াকাটার মৃত দুদু মিয়ার ছেলে এবাদুল হক গত বছর ৫ জুন নবী হোসেন ও তার ভাই লেদু মিয়াসহ ৯ জনকে মহিষ চুরির অভিযোগে আসামি করে মহেশখালী থানায় মামলা করেন।
উক্ত উল্লেখ করা হয় এবাদুল হকের পরিবারে ১৮টি মহিষ খামারে রাখা ছিল। ২০২১ সালের ৪ জুন ভোররাত ২টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত তার খামার থেকে চারটি মহিষ ইঞ্জিন বোটে তুলে নদীপথে এলাকা ত্যাগ করে। চোরচক্র চকরিয়ার চোরারফাড়ি ঘাটে বোট নোঙর করে মহিষগুলো নিয়ে পাড়ায় ঢুকে পড়ে। তারপর তারা মহিষগুলো একটি বাড়িতে ঢুকিয়ে ফেলে।
এবাদুল নদীরঘাট হতে তাদের পেছন পেছন গিয়ে সকল দৃশ্য কৌশলে ভিডিও ধারণ করে। পরে স্থানীয় লোকজনকে ভিডিও দেখিয়ে বাড়িটি নবী হোসাইনের বলে শনাক্ত করার পর চোরদের তথ্য সংগ্রহ করে মামলা করেন। তবে উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নেন তিনি। সেই জামিনের সময় শেষ হলে বিগত ১৩ ডিসেম্বর নিম্ন আদালতে জামিনের আবেদন করেন মামলার প্রধান আসামি ও সাবেক চেয়ারম্যান নবী হোসাইন।