ডেস্ক রিপোর্ট: চট্টগ্রামের জামালখানে মধ্যরাতে ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়া ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গতকাল রবিবার বিকেলে আলটিমেটামের সময় শেষ হয়েছে।
এ সময়ে মিছিলকারীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ ব্যর্থ হলে নগরের তিন থানার কোতোয়ালী, চকবাজার ও পাঁচলাইশ ওসির পদত্যাগ দাবির পাশাপাশি খোদ পুলিশ কমিশনারকে প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছিলেন সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ।
এদিকে সমন্বয়কদের অব্যাহত দাবির মুখে নগর পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশের দাবি, গ্রেপ্তারদের মধ্যে জামালখানের মিছিলে অংশগ্রহণকারীও রয়েছে। সমন্বয়কদের দাবি, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মিছিলকারীসহ যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
সিএমপি জানায়, বিশেষ অভিযানে ছাত্র আন্দোলনে গুলিবর্ষণকারী, শেখ হাসিনার সরকার পতন পরবর্তী নাশকতা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার থেকে রবিবার রাত ১০টা পর্যন্ত) নগরের ১৬ থানা এলাকা থেকে বিভিন্ন নাশকতার মামলার ৩৮ জন এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন– রাকিবুল ইসলাম, ইমরান হায়দার, মহিউদ্দিন ওরফে মাঈনুদ্দিন, বাচ্চু মিয়া, বেলাল হোসেন আজাদ, সাইমন ও টুটুল। এর মধ্যে প্রথম চারজন গত শুক্রবার মধ্যরাতে জামালখান এলাকায় মিছিলকারী বলে দাবি করেছেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) কাজী মো. তারেক আজিজ।
তবে গ্রেপ্তারের এই সংখ্যা নিয়ে সন্তুষ্ট নয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রামের সমন্বয়ক। তিনি বলেন, ‘আজ (সোমবার) মধ্যে ৫০ জনকে গ্রেপ্তার দেখতে চাই। ‘আলটিমেটামের মধ্যে পুলিশ প্রশাসন সবাইকে গ্রেপ্তার করতে পারেননি। এক্ষেত্রে পুলিশ ব্যর্থ। আজ সোমবার পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করব।’