চিঠিতে এনটিআরসিএ জানিয়েছে, ‘‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদরাসা) জনবল কাঠামোও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ [ভোকেশনাল, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা (বিএম), কৃষি ডিপ্লোমা ও মৎস্য ডিপ্লোমা] (২৩/৩/২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত) অনুযায়ী ভারতী আবেদন করেননি। তার শিক্ষক নিবন্ধনের বিষয় হলো প্রভাষক (গণিত), উক্ত নিবন্ধন সনদটি শুধুমাত্র উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল/কলেজ/মাদরাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের। কিন্তু তিনি তৃতীয় শিক্ষক নিয়োগ চক্রে প্রভাষক (গণিত) পদে সনদ অনুযাযী উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল/কলেজ/মাদরাসা প্রতিষ্ঠানসমূহে আবেদন না করে অনলাইনে প্রভাষক (গণিত) বিএম পদে ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা (বিএম) প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের জন্য আবেদন করেন। যেটা তার শিক্ষক নিবন্ধন অনুযায়ী পদের সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। উক্ত তথ্যানুযায়ী তিনি আলহাজ্ব শফিউদ্দিন মিঞা এন্ড একাব্বর হোসেন টেকনিক্যাল কলেজে প্রভাষক (গণিত) পদে ভুলক্রমে প্রভাষক (গণিত) বিএম পদে আবেদন করে নির্বাচিত হয়েছেন।
৩য় গণবিজ্ঞপ্তি-২০২১ এর ১৫ নং ক্রমিকে বর্ণিত শর্তানুযায়ী “শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত সর্বশেষ জনবল কাঠামো অনুযায়ী প্রার্থীকে আবশ্যিকভাবে কেবলমাত্র তার শিক্ষক নিবন্ধন সনদে উল্লিখিত বিষয় সংশ্লিষ্ট পদে আবেদন করতে হবে। আবেদনকারী মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে নিয়োগ সুপারিশপ্রাপ্ত হলে, উক্ত সুপারিশ বাতিলকরণ সহ তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে” মর্মে উল্লেখ রয়েছে।
যেহেতু তিনি নিজেই প্রভাষক (গণিত) পদের সনদ অনুযাযী উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল/কলেজ/মাদরাসা প্রতিষ্ঠানসমূহের সনদ দিয়ে ভুলক্রমে আবেদন করে প্রভাষক (গণিত) বিএম পদে ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা (বিএম) প্রতিষ্ঠানে নির্বাচিত হয়েছেন সেহেতু উল্লিখিত জনবল কাঠামো অনুযায়ী তাকে অন্য কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিবেচনা করা সম্ভব নয়।’’