ইবি প্রতিনিধি : নারীদের ক্যানসার সচেতনতা সৃষ্টিকারী সংগঠন ‘ক্যান্সার অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম ফর উইমেন (ক্যাপ)’ এর ৭ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ভিন্নরকম আয়োজন করা হয়।
সোমবার (১৪ ই নভেম্বর) বিকাল ৩ টায় দিনটি উপলক্ষে কুষ্টিয়ার শৈশব শিক্ষা অটিজম স্কুলে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের ও তাদের অভিভাবকদের নিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন করা হয়। মায়েদের নিয়ে সচেতনতা মূলক উঠান বৈঠক ও শিশুদের নিয়ে কেক কাটা,খেলা ও আনন্দ করার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয় ক্যাপের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিলেন জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ রেজওয়ানুল ইসলাম এবং বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো আবু হেনা মোস্তফা জামাল, শৈশব শিক্ষা অটিজম স্কুলের প্রিন্সিপাল লিনা পারভিন। আরো উপস্থিত ছিলেন ক্যাপের সাবেক প্রেসিডেন্ট মহব্বত ফয়সাল ও সিনিয়র সদস্য সাব্বির আহমেদ।
ফারহানা ইবাদের সঞ্চালনায় মায়েদের নিয়ে উঠান বৈঠকে স্তন ক্যান্সার নিয়ে বক্তব্য রাখেন সাদিয়া মুবাশ্বিরা ও জরায়ু মুখ ক্যান্সার নিয়ে বক্তব্য রাখেন রুহানি চৌধুরী। এরপর ক্যাপের সাধারণ সম্পাদক মরিয়ম নেসা মীমের সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, স্বেচ্ছাসেবক, শৈশব শিক্ষা অটিজম স্কুল এর শিশু, শিক্ষক, অভিভাবক সহ সবাইকে নিয়ে কেক কাটা হয়। পরে খেলাধুলায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. মো আবু হেনা মোস্তফা জামাল বলেন, ক্যান্সার খুব জটিল একটি রোগ। কিন্তু এই জটিল রোগটি ছড়ায় অনেক সহজে। ক্যান্সার এখন ঘরে ঘরে৷ এর কারণ আমাদের অবশ্যই বুঝতে হবে।
মূল আলোচনায় অধ্যাপক ড. মোঃ রেজওয়ানুল ইসলাম বলেন, নিজের শরীর কেমন আছে তা নিজের ই বুঝে নিতে হবে। যত ডাক্তার আছে তার মাঝে নিজের শরীর কে সবথেকে ভালো বুঝতে পারবো আমি নিজে। এই কথা আমি আমার স্টুডেন্ট দেরও বলি। এবং বর্তমানে স্তন ও জরায়ু ক্যান্সার এত বেশি হওয়ার কারণ সচেতনতার অভাব।
সবশেষে ক্যাপের সভাপতি সিয়াম মির্জা আজকের অনুষ্ঠান সম্পর্কে বলেন , বিশেষ শিশুদের জন্য যারা কাজ করে যাচ্ছেন তাদের অনেক ধন্যবাদ। এবং আমাদের এই সচেতনতার কাজটিকেও সবাই সচেতন ভাবে দেখবেন।
উল্লেখ্য, নারীদের ক্যানসার সচেতনতা সৃষ্টিকারী সংগঠন ‘ক্যাপ’ ২০১৫ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া) থেকে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে দেশের ৫টি অঞ্চলে স্তন ক্যানসার এবং জরায়ু মুখের ক্যানসার নিয়ে কাজ করে এই সংগঠনটি।