The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
মঙ্গলবার, ১১ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

ভালোবাসা দিবস উদযাপনের ব্যাপারে যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জনপ্রিয় আলেম ও আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেছেন, ‘ভালোবাসা দিবস’ উদযাপন বা ভালোবাসা দিবসে যে ধরনের অসামাজিক কর্মকাণ্ড হয়, তা জায়েজ মনে করলে ইমান নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ‘ভালোবাসা দিবস’ অসামাজিক সম্পর্ক ও ব্যভিচারের সম্পর্কের জন্য স্থিরীকৃত একটি দিন উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে কর্মকাণ্ড আমাদের শরিয়ত বৈধ বলছে না সেটা আমরা ব্যক্তিগত জীবনে করলাম কি করলাম না, তার চেয়ে গুরুতর অন্যায় হলো সেটার প্রচার-প্রসারে আমি শামিল হলাম। এটা আমাদের ইমান নষ্ট করে দিতে পারে। কারণ যদি আপনি কোনো অন্যায় কাজে লিপ্ত হন, তাহলে আপনি অমুসলিম হবেন না যদি সেটা কুফুরির পর্যায়ে না যায়। কিন্তু ওই একই কাজ যদি আপনি মনে করেন এটা করলে কী সমস্যা? যদি আপনি এটাকে বৈধতা দেন, এটাকে দূষণীয় মনে না করেন, তাহলে আপনি নিজে ওই কাজে লিপ্ত না হয়েও ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাবেন।

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) বেসরকারি একটি টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

‘সেন্ট ভ্যালেন্টাইন ডে’-কে ‘বিশ্ব ভালোবাসা দিবস’ হিসেবে উপস্থাপন করা অসাধুতা উল্লেখ করে শায়েখ আহমাদুল্লাহ বলেন, ‘সেন্ট ভ্যালেন্টাইনস ডে’ এই বাক্যের অর্থ কোনো অবস্থাতেই ‘বিশ্ব ভালোবাসা দিবস’ নয়। আমার জানা মতে পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও এই দিবসটাকে ‘ভালোবাসা দিবস’ এ রকম কোনো নামে সাধারণত নামকরণ করা হয়নি। দুর্ভাগ্যজনক বাস্তবতা হলো আমাদের সমাজে এটা ‘ভালোবাসা দিবস’ হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে। সেন্ট ভ্যালেন্টাইন একজন ধর্মযাজক। তার সঙ্গে কী ঘটেছিল এবং কোন ঘটনাকে কেন্দ্র করে খ্রিস্টানরা পরবর্তীতে কী উদযাপন করেছে, সেই আলাপ গুগল করলে, অনলাইন ঘাটলে নিশ্চয়ই আমরা জানতে পারব। এ রকম একটা বিষয়কে নিছক ভালাবাসার মতো একটি সেকুলার শব্দ যে শব্দটি কোনো ধর্মের মানুষের নয় সে রকম একটি শব্দের মোড়কে উপস্থাপন করে সবাইকে গেলানো আমি মনে করি এক ধরনের অসাধুতা, অন্তত এটা একটা ভুল তথ্য।

তিনি বলেন, যদি আপনি এটাকে ‘ভালোবাসা দিবস’ বলেন, তাহলে আমার প্রশ্ন হলো ১৪ ফেব্রুয়ারি বা ‘সেন্ট ভ্যালেন্টাইনস ডে’- এই তারিখটাতে কি বাবা-মা তার সন্তানকে ভালবাসা নিবেদন করেন অথবা সন্তান কি তার মা-বাবাকে ভালবাসা নিবেদন করেন? এই তারিখটাতে কি ভাই-বোন বা স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে ভালবাসা নিবেদন করেন? এসব প্রশ্নের উত্তর হলো, এ রকম ঘটনা খুবই কম ঘটে। এই দিবসে যে তথাকথিত ভালবাসা নিবেদন হয় সেটা হলো বিবাহ বহির্ভূত ভালোবাসা। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার প্রেক্ষাপটে আমরা বলতে পারি, অসামাজিক সম্পর্ক ও ব্যভিচারের সম্পর্কের জন্যই এই দিনটিকে নির্ধারণ করা হয়েছে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.