বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি: ভালোবাসা মানেই কি প্রেমিক-প্রেমিকাদের প্রেম? নাকি এই ভালোবাসা সমাজের প্রত্যেক স্থরে প্রত্যেক জনে বন্টন করা সম্ভব। গতকাল ছিল বিশ্ব ভালোবাসা দিবস।ভালোবাসার দিন। প্রিয়জনকে কাছে পাওয়ার দিন।কিন্তু আমাদের সমাজে এমন কিছু মানুষ আছে, যাদের ভালোবাসাহীন ছিন্নভিন্ন জীবন চলছে দিনের পর দিন। তাদের কাছে ভালোবাসার কোনো সংজ্ঞা নেই।
ভালোবাসা দিবসে যখন সংখ্যাগরিষ্ঠরাই নানা বিলাসীতায় ঠিক তখন-ই একদল বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুন কাজ করে যাচ্ছেন মানবতার সেবায়।
বলছিলাম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সিআরসি( কাম ফর রোড চাইল্ড) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,গোপালগঞ্জ শাখার কথা।তাদের উদ্যোগে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে ব্যতিক্রমী আনন্দ-উৎসবে মেতে উঠল সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা।
বুধবার বিকেলে গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মণি স্মৃতি অডিটোরিয়ামে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে ব্যতিক্রমী আয়োজন করে সিআরসি।
এসময় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অংশগ্রহণে কেককাটা, খাবার পরিবেশন, খেলাধুলা, বিনোদন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সংগঠনটির সভাপতি মেহেদী হাসান মিলন, সহসভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান আশিক, যুগ্ম সম্পাদক শরিফুল ইসলাম সোহাগ, সাংগঠনিক সম্পাদক কিশোর বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল হাসান সৌরভসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
গোপালগঞ্জ এর সুবিধাবঞ্চিত শিশু আলিফ ও চৈতি জানায়, এ ধরণের আনন্দ-উৎসবে ও এমন আয়োজনে ভাইয়া ও আপুরা আমাদের অনেক আনন্দ দিয়েছেন।
ভিন্নরকম এই আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়ে সিআরসি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় পরিষদের সভাপতি মোঃ রাসেল আহমেদ বলেন, শিশুদের মুখে হাসি ফুটাতে স্বেচ্ছাসেবীদের এই উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণদের সৃজনশীল এই উদ্যোগ সমাজের বিভিন্ন স্তরে ছড়িয়ে পরবে এই আমাদের প্রত্যাশা। আশা করি ভবিষ্যতেও তারা ভালো কাজ অব্যাহত রাখবে বলে।
সিআরসি বশেমুরবিপ্রবি শাখার সভাপতি মেহেদী হাসান বলেন, সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার শুরুতে থেকেই সমাজের সুবিধাবঞ্চিত পিছিয়ে পড়া শিশুদের নিয়ে কাজ করে এসেছে। তারই ধারাবাহিকতায় বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে এ ধরণের ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী নুর মোহাম্মদ বলেন, এই ধরণের আয়োজন সমাজের সকল স্তরের মানুষের মধ্যে ভালোবাসা ও সহমর্মিতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।