The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২রা জানুয়ারি, ২০২৫

ভারতে ৪৬ বাংলাদেশি আটক, জাতীয় পরিচয়পত্র নষ্ট করেছে কেউ কেউ

ডেস্ক রিপোর্ট: অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী শনাক্তকরণ ও ফেরত পাঠাতে ভারতে অভিযান শুরু হয়েছে গত ১০ ডিসেম্বব। অভিযান শুরুর পর গত ১০ থেকে ২৮ ডিস্বেরের মধ্যে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ৪৬ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বসবাস অথবা ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ভারতে থেকে যাওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে এসব বলা হয়েছে।

অভিবাসীবিষয়ক সংস্থা ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস (এফআরআরও) এই ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া পরিচালনা করছে। পুলিশের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এই ৪৬ জনের মধ্যে ৩৬ জনকে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। অন্য ১০ জন তাদের ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পরও থেকে গিয়েছিল। এদিকে, গ্রেপ্তার বেশ কয়েকজনকে ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

নয়াদিল্লির দক্ষিণ-পশ্চিম জেলার ডেপুটি পুলিশ কমিশনার সুরেন্দ্র চৌধুরী জানান, ঢাকার জাহাঙ্গীর শেখ এবং পারিনা বেগম দম্পতি বন পাড়ি দিয়ে ভারতে ঢুকে। সেখান থেকে এক্সপ্রেস ট্রেনে চড়ে নয়াদিল্লিতে ঢুকে পড়ে।

তিনি আরো বলেন, ‘জাহাঙ্গীর জানিয়েছেন দিল্লিতে স্থায়ী হওয়ার পর তিনি বাংলাদেশে ফিরে যান স্ত্রী-সন্তানদের আনতে। তারা তাদের বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র নষ্ট করে নয়াদিল্লির রঙ্গপুরিতে অবৈধভাবে বসবাস করছিলেন।’

অন্য এক অভিযানে গত শনিবার ফতেপুর বেরির আরজান গড় মেট্রো স্টেশনের কাছে সাত বাংলাদেশি অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়। যার মধ্যে পাঁচজন নারী। বাকি দুজনের নাম মোহাম্মদ উমর ফারুক এবং রিয়াজ মিঞা ওরফে রিমন খান। তাদের সবাইকে এফআরআরওর কাছে ফেরত পাঠানোর জন্য হস্তান্তর করা হয় বলে জানান দক্ষিণ জেলার ডেপুটি পুলিশ কমিশনার অঙ্কিত চৌহান।

নয়াদিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা ১০ ডিসেম্বর দিল্লি পুলিশ ও সরকারকে অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্ত ও ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেন। এই অভিযানের সময় ১৬ হাজার ৬৪৫ জনকে যাচাই করা হয়েছে। যার মধ্যে ১৫ হাজার ৭৪৮ জনের নথি বৈধ পাওয়া গেছে। অন্যদিকে, ৮৫১ জনের নথি এখনো যাচাই প্রক্রিয়াধীন।

নয়াদিল্লির এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ৮৫১ জন ‘সন্দেহজনক’ অভিবাসীর যাচাই প্রক্রিয়া চলছে। যাদের বর্তমান নথিপত্র (পর্চা-১২) তাদের পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, বা ঝাড়খণ্ডে বাসিন্দা হিসেবে উল্লেখ করেছে। তিনি বলেন, ‘এই এলাকাগুলোতে যেগুলো অনেক ক্ষেত্রে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছাকাছি, সেখানে বিশেষ দল পাঠানো হয়েছে। বিএসএফ ইউনিটগুলোর সঙ্গে সমন্বয় ও অনুমোদনের ভিত্তিতে যাচাই চলছে।’

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.