The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
মঙ্গলবার, ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪

ভর্তি পরীক্ষা ইস্যুতে ঢাবি ভিসিকে আইনি নোটিশ

মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভর্তিতে নানান বৈষম্যের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা), রেজিস্টার ও কলা অনুষদের ডিন বরাবর আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। চলতি শিক্ষাবর্ষে ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে ভর্তি হওয়া মোহাইমিনুল নামের ওই শিক্ষার্থীর পক্ষে মঙ্গলবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী এম নোমান হোসাইন তালুকদার এ নোটিশ পাঠান।

আইনজীবী নোমান হোসাইন তালুকদার জানান, মোহাইমিনুল গত ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে প্রথমবর্ষ সম্মান শ্রেণির ‘খ’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় মেধাক্রম ৩৫৩৫তম হিসেবে উত্তীর্ণ হন এবং একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের প্রকাশিত তালিকায় মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভর্তির জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত হন।

‘‘কোটায় ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল যে, বিষয় পছন্দক্রমের ফর্মে উল্লেখিত বিষয়গুলোর সর্বনিম্নটি হলেও মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মনোনীতদের দেওয়া হবে। পরবর্তীতে সাক্ষাৎকারের দিন দেখা যায় মোহাইমিনুলকে ফারসি ভাষা ও সাহিত্যের জন্য মনোনীত করা হয়।’’

তিনি আরও বলেন, যদিও মোহাইমিনুল ওই বিষয়ে অধ্যয়নে আগ্রহী না থাকায় তার পছন্দক্রমে আদৌ বিষয়টি ছিল না। যা কোটা ভর্তি বিজ্ঞপ্তির সাথে পুরোপুরি সাংঘর্ষিক। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি সম্মান জানিয়ে মোহাইমিনুল ওই বিষয়ে ভর্তি হতে বাধ্য হন।

তবে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ সম্মান শ্রেণির ‘খ’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় ১১৯টি আসন মুক্তিযোদ্ধা কোটার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।

কিন্তু বিভিন্ন কারণবশত মোহাইমিনুলের উপরের মেধাক্রমের কয়েকজন শিক্ষার্থী সাক্ষাৎকারে অংশ নেননি। যার প্রেক্ষিতে ফাঁকা আসনে মোহাইমিনুলের পছন্দক্রমের বিষয় অনুযায়ী তাকে ভর্তি অথবা মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মনোনীতদের নিজেদের অভ্যন্তরীণ মাইগ্রেশনের সুযোগ দেওয়ার জন্য মৌখিক ও লিখিত অনুরোধ করেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা সরাসরি অগ্রাহ্য করে। যদিও সাধারণ কোটায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা মাইগ্রেশনের সুযোগ পেয়ে থাকেন।

নোটিশে মোহাইমিনুলকে পছন্দক্রমের সর্বনিম্ন বিষয়ে ভর্তির সুযোগ প্রদান, মুক্তিযোদ্ধা কোটার জন্য বরাদ্দকৃত ১১৯টি আসন পূর্ণ ও অভ্যন্তরীন মাইগ্রেশনের সুযোগ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের তিন দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়। অন্যথায় উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার কথা বলা হয়েছে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.