পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে আজ বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) সভা ডেকেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। বেলা সাড়ে ১১টায় ইউজিসি ভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সভা থেকে ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয়বার সুযোগ রাখা এবং সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের আলোকে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের বিষয়ে মতামত জানতে চেয়ে চিঠি পাঠায় ইউজিসি। সেই চিঠির প্রেক্ষিতে নিজেদের মতামত দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। চিঠিতে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতামত নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে সভায় বসতে যাচ্ছে ইউজিসি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইউজিসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম গত সপ্তাহে জানিয়েছিলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষার কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে ৭ এপ্রিল উপাচার্যদের সাথে একটি সভা ডাকা হয়েছে। ওই সভার পর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি ইউজিসির পক্ষ থেকে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ও দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে মতামত জানতে চিঠি পাঠানো হয়। এতে ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান স্বাক্ষর করেছেন।
মোহাম্মদ জামিনুর রহমান জানান, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের মতামত জানিয়েছে। এর বেশি এই মুহূর্তে কিছু বলা সম্ভব নয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় ইউজিসির সাথে সাম্প্রতিক এক সভায় এইচএসসি ২০২১ পরীক্ষার্থীদের জন্য পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাসের আলোকে ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পর্যায়ে ভর্তি পরীক্ষা এবং স্নাতক পর্যায়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগদান প্রসংগে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতামত দ্রুততম সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবার জানার বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছেন৷ এ সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের মতামত জানানোর অনুরোধ করছি।’
এর আগে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের দিন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের আলোকে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের পরামর্শ দেন। ওইদিন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার জন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে (ইউজিসি) নির্দেশ দিয়েছি। তারা উপাচার্যদের সাথে কথা বলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।