চট্টগ্রামের পাহাড়তলী ফয়েজ লেক সংলগ্ন আই ইনফার্মারি অ্যান্ড ট্রেইনিং কমপ্লেক্স (চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল) কর্তৃপক্ষ সেখানে কর্মরত নারী কর্মচারীদের নেকাব ও বোরকা পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
আগামী পহেলা মে থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার নির্দেশনা জারি করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ৷ তবে এই নিষেধাজ্ঞা কোন ভাবেই মেনে নিতে রাজি নন সেখানে কর্মরত কর্মচারীরা। মুসলিম নারীদের ধর্মীয় পোশাক নিষিদ্ধ করার এই সিদ্ধান্তে হাসপাতালের কর্মচারীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সেইসাথে সর্বত্র চলছে এ পদক্ষেপের সমালোচনা।
গত ১৬ এপ্রিল মানবসম্পদ ব্যবস্থাপক মো. কবির হোসেনের সই করা এক চিঠিতে এই ঘোষণা দেয় সিইআইটিসি কর্তৃপক্ষ।
‘ইউনিফর্ম পলিসি, ড্রেস কোড, পার্সোনাল অ্যাপিয়ারেন্স স্ট্যান্ডার্ড এবং গ্রুমিং কোড’ শিরোনামের ৩ পৃষ্ঠার অফিস আদেশটিতে বলা হয়, “আমাদের গ্রাহকদের কাছে একটি ইতিবাচক পেশাদার ভাবমূর্তি তৈরি করতে এবং রোগী ও জনসাধারণের আস্থা বাড়াতে এবং প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলার একটি অংশ হিসাবে, ব্যবস্থাপনা কর্মীদের জন্য একটি নির্দেশিকা তৈরি করেছে সিইআইটিসি । এটি ১ মে থেকে কার্যকর করা হবে। সকলকে তাদের সহযোগিতা প্রসারিত করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।”
ওই ড্রেস কোডের একাংশে লেখা আছে, “মহিলা কর্মচারীরা মুখ ঢেকে রাখতে পারবেন না। হিজাব অনুমোদিত। ডিউটির সময় নেকাব এবং বোরকা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।”
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিইআইটিসির একজন নারী কর্মচারী জানিয়েছেন, “আমরা যারা মুসলিম তারা সুদীর্ঘ কাল ধরে বোরকা পরিধান করে আসছি৷ এটি ধর্মীয় ভাবে মুসলিম নারীদের জন্য বাধ্যতামূলক একটি পরিধেয় বস্ত্র। ধর্মীয় এই পোশাকটি নিষিদ্ধ করা কর্তৃপক্ষের অনাধিকার চর্চা। কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে।