বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমপিও পদে শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমপিও পদে শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এই তথ্য তিনটি অধিদপ্তরের মাধ্যমে যাচাই করা হবে। এরপর চূড়ান্ত তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে এনটিআরসিএ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত তিনটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে এনটিআরসিএ। প্রতিটি গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশের পর প্রার্থীদের নানা জটিলতায় পড়তে হয়েছে। এর ফলে অনেক প্রার্থী যোগদান করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছেন। আবার অনেকে এমপিওভুক্ত হতে পারেননি। সমস্যা সমাধানে অধিদপ্তরগুলো সেভাবে সহযোগিতা করেনি। এর কারণ হিসেবে সমন্বয়হীনতাকে দায়ী করা হয়েছে। সমন্বয়হীনতা দূর করতেই এবার সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরকে দিয়ে শূন্য পদের তথ্য যাচাই করা হবে।
এনটিআরসিএ বলছে, প্রাথমিকভাবে প্রায় ৭০ হাজার শূন্য পদের তথ্য পাওয়া গেছে। এই তথ্য উপজেলা এবং জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে একধাপে যাচাই করা হয়েছে। বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) যাচাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। শিগগিরই সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যগুলো আবারও যাচাই করা হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটিআরসিএ’র এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, প্রাপ্ত শূন্য পদের সাধারণ স্কুল কলেজের তথ্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, মাদ্রাসার তথ্য মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর এবং কারিগরি প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্য কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর যাচাই করবে। এরপর এই তালিকা এনটিআরসিএ’র ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। সেটি প্রতিষ্ঠান প্রধানদের দেখানো হবে।
তিন অধিদপ্তরের মাধ্যমে তথ্য যাচাইয়ের কারণ জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, আমরা সুপারিশ করার পর এমপিওভুক্ত হতে প্রার্থীরা নানা সমস্যায় পড়েন। তখন অধিদপ্তর এর দায় নিতে চায় না। সেজন্য এবার অধিদপ্তরগুলোর মাধ্যমে তথ্য যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।