বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিঃ শরীরচর্চা ও খেলাধুলার প্রয়োজনে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে খেলার মাঠ থাকা আবশ্যক। দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একাধিক খেলার মাঠ থাকলেও ঠিক উল্টো চিত্র ছিল বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দেড়যুগে একটি কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ থাকলেও তা খেলার জন্য উপযোগী ছিল না বলে দীর্ঘদিনের অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
এবার দীর্ঘদিনে অপূর্নতা পূরন হতে চলেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থীদের। ঈদুল ফিতরের ছুটি কাটিয়ে ক্যাম্পাসে আসলেই তারা নতুন রূপে দেখতে পাবে তাদের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ। কেন্দ্রীয় মাঠ সংস্কার ও খেলার উপযোগী করতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। চলছে সংস্কার কার্যক্রম।
শুধু কি তাই! শিক্ষর্থীদের জন্য আরো এক চমক অপেক্ষা করছে। কেন্দ্রিয় খেলার মাঠের পাশাপাশি কাজ চলছে আরে দুইটি নতুন খেলার মাঠ প্রস্তুতে। কর্তৃপক্ষের তরফে জোর চেষ্টা চলছে পবিত্র ঈদ উল ফিতরের ছুটি শেষের আগেই শিক্ষার্থীদের জন্য মাঠগুলো খেলার উপযোগী করে তোলার।
মাঠ প্রস্তুত কাজ শেষ হলে ক্রিকেট ও ফুটবল খেলার পৃথক দুটি মাঠ পাবে ক্রীড়াপ্রেমী শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন উদ্যোগ শরীর চর্চা ও খেলাধুলার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছেন ক্রীড়া গবেষকরা। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবন সংলগ্ন মাঠ এবং কেন্দ্রীয় মসজিদ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের মাঝখানে অবস্থিত মাঠটিও শিক্ষার্থীদের খেলার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় মাঠে খেলোয়াড়দের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা ছিলো না। সেই সমস্যা নিরসনে কেন্দ্রীয় মাঠের সাথেই খেলোয়াড়দের সুপেয় পানির জন্য একটি টিউবওয়েল বসানো হয়েছে।
দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হওয়ায় উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। তারা জানান, নামে মাত্র একটি কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ ছিলো। যা খেলার জন্য মোটেও উপযোগী ছিলো না। তাছাড়া একটিমাত্র মাঠে ২২টি বিভাগের ক্রীড়া সপ্তাহ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তঃবিভাগ টুর্নামেন্ট লেগেই থাকে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা খেলাধুলার সুযোগই পেত না। খেলার মাঠের দীর্ঘদিনের যে সংকট ছিলো এ দুটি মাঠ প্রস্তুত হলে তা আর থাকবে না।
রেবোরিব শারীরিক শিক্ষা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. আল হেলাল রাইজিং ক্যাম্পাসকে বলেন, শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে, তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের লক্ষ্যে বর্তমান প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনটি খেলার মাঠ সংস্কার করছে। যাতে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় আয়োজিত টুর্নামেন্ট সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারে। মাঠ অসমতলের কারণে যেসব দুর্ঘটনা ঘটত তা অনেকটাই কমে যাবে।
বর্তমান প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীয়াঙ্গন প্রাণোচ্ছল রাখতে সাধ্যের মধ্যে সবটুকু করতে চেষ্টা করছে বলেও জানান তিনি।