বেরোবির শিক্ষক ড. তৌফিকুলের বিরুদ্ধে মানহানিকর সংবাদ প্রকাশে শিক্ষক সমিতির প্রতিবাদ লিপি
বেরোবি প্রতিনিধি: রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষক ড. আবু রেজা মোঃ তৌফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানহানিকর সংবাদ প্রকাশে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি প্রতিবাদলিপি প্রকাশ করেছে।
প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে গত ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৩ তারিখে অনলাইন ভিত্তিক বাংলা ট্রিবিউন পত্রিকায় “এক বছরে ১০২ টি গবেষণা পত্র, প্রতিটি তৈরিতে লেগেছে তিন দিন!” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির দৃষ্টিগোচর হয়েছে। শিক্ষক সমিতি মনে করে সংবাদটি সত্য নয়।
প্রকাশিত সংবাদে ড. তৌফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে গবেষণাপত্র নকলের অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু তাঁর কোন গবেষণা কীভাবে নকল করা হয়েছে তার কোন উল্লেখ নেই। তাছাড়া এ বিষয়ে উপাচার্যের কাছে অভিযোগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, কিন্তু কে অভিযোগ করেছেন তা স্পষ্ট করে বলা হয়নি। অধিকন্তু, উপাচার্য মহোদয় অভিযোগের কপি তখনো পাননি বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
ড. তৌফিকুল ইসলাম বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় তথা জাতীয়-আন্তর্জাতিক পর্যায়ের একজন খ্যাতিমান গবেষক। গত প্রায় এক যুগ ধরে তাঁর নিরলস গবেষণা ও সাধনার দ্বারা বাংলাদেশের শিক্ষা ও গবেষণায় অবদান রেখে চলেছেন।
তিনি তাঁর গবেষণা কর্মের স্বীকৃতি স্বরূপ আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির জরিপে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ২ শতাংশ গবেষকের তালিকায় পরপর দুইবার স্থান পেয়েছেন। তাঁর অসংখ্য গবেষণাপত্র বিশ্বের প্রসিদ্ধ পিয়ার রিভিউড জার্নালে যথাযথ মানদন্ড মেনে প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি বাংলাদেশের সেরা গবেষকদের নিয়ে গড়া প্রতিষ্ঠান ‘বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্স’ এর নির্বাচিত অ্যাসোসিয়েট ফেলো। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি গবেষণা ক্ষেত্রে যে কোনো প্রকার জালিয়াতির বিরুদ্ধে। কিন্তু এর সাথে মিথ্যা, ভিত্তিহীন, ও বানোয়াট অভিযোগে কোন অন্তপ্রাণ গবেষকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক কার্যক্রমের ঘোর বিরোধী।
একজন প্রতিথযশা গবেষকের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ ছাড়া অভিযোগ করা এবং সেই বিষয়ে সংবাদ প্রচার করার নেপথ্যে কোনো না কোনো অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে বলে শিক্ষক সমিতি মনে করে। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।