বেরোবি প্রতিনিধি: উত্তর অঞ্চলের আলোকবর্তিকা রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) জ্ঞান-বিজ্ঞান ও গবেষণায় ক্রমাগত আলো ছড়াচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। দেশের বিভিন্ন জায়গা হতে আগত শিক্ষার্থীরা এখানে এসে ভর্তি হয়। বিশ্ববিদ্যালয় চারটি একাডেমিক ভবনসহ প্রশাসনিক ভবন রয়েছে যেখানে কোন নির্দিষ্ট নাম নেই যার ফলে চেনার কোন উপায় নেই কোনটা কোন ভবন। এতে করে পড়তে আসা নবীনসহ প্রবীন শিক্ষার্থীরা নাম না থাকায় অসন্তোষ্ট প্রকাশ করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সূত্রে জানা যায়, এখানে প্রায় ৬টি অনুষদের মধ্যে ২২ টি বিভাগ রয়েছে। অনুষদ গুলো হলো কলা অনুষদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, বিজ্ঞান অনুষদ, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ,জীব ও ভূ-বিজ্ঞান অনুষদ,বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ। এই ছয়টি অনুষদের জন্য চারটি একাডেমিক ভবন রয়েছে। যার মধ্যে কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ মিলে একাডেমিক ভবন ১,প্রকৌশল ও প্রযুক্তি এবং জীব ও ভূবিজ্ঞান মিলে দুই, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ ৩ এবং বিজ্ঞান অনুষদ ৪। এই ভাবে সংখ্যা দিয়ে একাডেমিক ভবন গুলোর নাম রাখা হয়েছে। প্রসঙ্গত যদিও কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভুবনের একটি নাম রয়েছে। সেটি হল কবি হেয়াত মামুদ ভবন এক। বাকি গুলোর নাম নাই। শুধু সংখ্যা দিয়ে দেওয়া আছে। এতে করে অনেক শিক্ষার্থী জানেনও না কোন ভবনে কোন অনুষদের বিভাগ গুলো রয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী একাডেমিক ভবনগুলোর নাম না থাকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।এছাড়াও মাঝে মাঝে অনেক অভিভাবক ও দর্শনার্থী আসে তারাও তাদেরকে ও একই সমস্যায় পড়তে হয়।
ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী নাজমিন তাসনিম বলেন, প্রত্যেক ভবনের প্রত্যেক অনুষদের নাম গুলো থাকলে আমাদের খুঁজে বের করতে সমস্যা হতো না, উল্লেখ থাকবে যে কোথায় কোন বিভাগ আছে, এক কথায় প্রত্যেকটা অনুষদ আলাদা আলাদা হবে,আর এভাবে থাকলে আমাদের খুঁজে পেতে সুবিধা হতো এবং বাইরে থেকে আগত অভিভাবকদের সুবিধা হতো, ভুবনগুলো সুন্দর সুন্দর নামের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বহু গুণ বৃদ্ধি পেতো।
ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী অনিক বলেন,আমি যখন প্রথম ক্যাম্পাসে আসি, তখন দেখতে পাই কবি হেয়াত মামুদ ভবন ছাড়া, বাকি ভবন গুলোর নাম দেওয়া না থাকায় আমরা সমস্যার সম্মুখীন হই। কেউ যদি জিজ্ঞেস করে যে এই বিভাগের / ওই বিভাগের ক্লাস কোথায় হয়, সেক্ষেত্রে আমাদের বলতে সমস্যা হয়।আবার অনেকে বলে যে এখানে একাডেমিক বিল্ডিংয়ে নাম্বার দেওয়া কেনো, সেক্ষেত্রে আমরা সঠিকভাবে কিছু বলতে পারি না। এজন্য প্রতিটা একাডমিক বিল্ডিংয়ের আলাদা আলাদা নামকরণ করা উচিত।
কক্সবাজার থেকে আসা ম্যানেজমেন্ট এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোজাম্মেল হক বলেন, একাডেমিক বিল্ডিং বললে মনে হয় স্কুল কলেজে পড়ি
রংপুরে অনেক ভালো ভালো গুনিজন মানুষ আছে তাদের নাম অনুসারে নামকরণ করলে ভালো হয়
সবার বিল্ডিং গুলো চিহ্নিত করতে সুবিধা হবে বলে আমি মনে করি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন,আমরা বিষয়টি নিয়ে ভাবছি,অতি দ্রুত এই কাজটি হবে, এইজন্য একটি ম্যাপ বানানো হবে যাতে করে কোথায় কোন ভবন আছে,সেটা বুঝা যায়।অভিভাবক বা নতুন কোন শিক্ষার্থী আসলে যেন সহজে বুঝতে পারে।