সাকিবুল ইসলাম, জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নতুন একাডেমিক বিল্ডিংয়ের নিচে বেজমেন্টে গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা। তবে হালকা বৃষ্টিতে জমাটবদ্ধ হয়ে থাকে পানি। আর এ পানিতে পুরোনো ময়লা আবর্জনা ভেসে ওঠে। আর এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গাড়ি রাখতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সেখানে গাড়ি রাখতে না পেরে ছোট ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় রাখা হচ্ছে গাড়ি গুলো।
সরেজমিনে দেখা যায়, নতুন একাডেমিক বিল্ডিংয়ের নিচে বৃষ্টির পানি জমে আস্তে আস্তে পুরোটা ভেসে যাচ্ছে। বৃষ্টির তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে জলাবদ্ধতাও বেড়ে চলছে৷ এতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। চলমান বর্ষায় আরও দুর্ভোগের আশঙ্কা করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন একাডেমিক বিল্ডিংয়ের দেয়াল ঘেঁষা জমে থাকা পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এসব পানি বেজমেন্টে ডুকছে বলে জানা যায়। একই অবস্থা ভবনের পেছনের অংশেও, সেখান থেকে ড্রেনের পানি ডুকছে। আর এসব ময়লা পানি জমে মশার লার্ভা জন্ম নিচ্ছে। এ পানির উপরেই রাখতে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এম্বুলেন্স সহ সব মাইক্রোবাস। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ভালো না থাকায় এমনটা হচ্ছে বলে জানান শিক্ষার্থীরা। এর আগেও বৃষ্টির পানি জমে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
মোটরসাইকেল নিয়ে ক্যাম্পাসে আসেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সুমিত। বেজমেন্টে পানি থাকার কারণে সেখানে গিয়েও পার্কিং না করে শান্ত চত্বরে পার্কিং করেন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বেজমেন্টে পার্কিং করতে গেছিলাম। গিয়ে দেখি বৃষ্টির পানি জমে আছে। পার্কিং করে যে হেঁটে আবার বের হবো সে ব্যবস্থা নাই। এজন্য বাহিরেই এনে পার্কিং করেছি।’
মোটর সাইকেল আরোহী গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, ‘আমি ক্যাম্পাসে বাইক নিয়ে আসলে বেজমেন্টেই রাখি। যদিও সেখানে পর্যাপ্ত আলো বাতাস নাই। কিন্তু এখন বৃষ্টির পানি জমে সেখানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তাই এটা এখন দ্রুত নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক মাইক্রোবাস চালক বলেন, ‘বাহিরে বড় বাসগুলো রাখা হয়। আমরা মাইক্রোবাস এখানেই রাখি। তবে হালকা বৃষ্টি হলেই এখানে পানি জমতে থাকে। আমাদের তো আর কিছু করার থাকে না। আমরা গোড়ালি পর্যন্ত পানি দিয়ে হেঁটে গিয়ে গাড়ি নিয়ে আসি রেখে আসি।’
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘পানি জমার খবরটা আমরা পেয়েছি। আমি আসার আগে আরও বেশি পানি জমতো। আমি আসার পরে সংস্কার করায় পানি জমা একদম কমে গিয়েছিলো। হটাৎ আবার দেখছি পানি ঢোকা শুরু করেছে। মূলত পশ্চিম পাশ দিয়ে পানি প্রবেশ করছে। আমরা বিষয়টি দেখছি। খুব শীঘ্রই সংস্কার করা হবে।’