বুয়েট শিক্ষার্থীদের জন্য আবরার ফাহাদের নামে স্কলারশিপ চালু
আলোচিত আবরার ফাহাদের নামে একটি স্কলারশিপ চালু করেছে বুয়েটিয়ান ইনভেস্টমেন্ট নেটওয়ার্ক(বিআইএন)। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বুয়েটিয়ান ইনভেস্টমেন্ট নেটওয়ার্কের (বিআইএন) প্রতিষ্ঠাতা আশরাফুল হান্নান পরাগ। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কম্পিউটার সাইন্স ইজ্ঞিনিয়ারিংয়ের সাবেক শিক্ষার্থী।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) চলমান সব ডিপার্টমেন্ট ও সব ব্যাচের (L4-T1 এবং L4-T2) শিক্ষার্থীরা প্রাথমিকভাবে এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। বুয়েট ক্যাম্পাসকে রাজনৈতিক সহিংসতা ও নির্যাতনমুক্ত রাখতে শিক্ষার্থীদের বাৎসরিক হিসেবে এ বৃত্তি দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
বিআইএন বলছে বৃত্তি পেতে বুয়েটের শিক্ষার্থীদের বেশ কিছু মানদন্ডে সামনে রেখে বিচার বিশ্লেষণ করে নির্বাচন করা হবে। যথাঃ
০১. শহীদ আবরার ফাহাদের চেতনা এবং দেশপ্রেমকে সমুন্নত রাখতে হবে। এ’ছাড়াও তারা একাধিক উপায়ে বৃত্তির জন্য মনোনীত করবে। ক্যাম্পাসে এবং আবাসিক হলগুলিতে শিক্ষার্থীদের জীবনযাত্রার মানের উন্নতি, ভিন্ন মতামতের সাথে শিক্ষার্থীদের আচরণ এবং শিক্ষার্থীদের সমস্যা নির্মূলের জন্য নিষ্ঠার সাথে কাজ করা এবং দেশের সমর্থনে জাতীয় সমস্যাগুলির জন্য আন্দোলন করার মানসিকতা থাকতে হবে।
০২. পাশাপাশি, প্রার্থীর পুরো বুয়েট জীবনে কোন প্রকার হয়রানি, সহিংসতা, র্যাগিং, ডান বা বাম রাজনীতি ইত্যাদির সাথে জড়িত থাকতে পারবে না।
০৩. এই স্কলারশিপের জন্য যোগ্যতা অর্জনের জন্য কোন ন্যূনতম সিজিপিএ এর প্রয়োজন নেই, তবে আবেদনকারীর সিজিপিএ ২.৭৫ থাকবে বলে আশা বিআইএন’র। বৃত্তির পরিমাণ, প্রাথমিকভাবে ১ হাজার ডলার সমপরিমাণ টাকা দেয়া হবে। পাশাপাশি, বিজয়ীদের যেকোনো সামাজিক প্রকল্পে অর্থায়ন সহ ভবিষ্যতে আরও সুবিধা দেবে তারা।
০৪. প্রার্থীকে তাদের ইমেলের (BinTradingLLC@gmail.com)মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। প্রাথমিক তথ্য প্রদান, বুয়েটে ছাত্রত্বের প্রমাণ এবং এই বৃত্তির জন্য যোগ্যতা অর্জনের জন্য তারা কী করেছে তার ব্যাখ্যা। একটি সংবাদপত্রের প্রকাশনা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে সাক্ষ্য সম্পূরক তথ্য হিসাবে জমা দিতে হবে আবেদনের সাথে।
০৫. বুয়েটের প্রাক্তন ছাত্র, বর্তমান শিক্ষক, বর্তমান ছাত্র ইত্যাদির সমন্বয়ে একটি বেনামী বাছাই কমিটি থাকবে যারা শুধুমাত্র নির্বাচনের মানদণ্ডের ভিত্তিতে বৃত্তির জন্য নির্বাচন করা হবে।
০৬. বাছাই কমিটি সমস্ত আবেদন পর্যালোচনা করবে, শীর্ষ ৩ প্রার্থীকে সিলেক্ট করবে এবং পুরস্কার প্রদানকারী প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য বিআইএন এ পাঠাবে।
০৭. প্রদত্ত তথ্য যাচাই করতে এবং সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচন করতে নির্বাচিত শীর্ষ প্রার্থীদের সাক্ষাৎকারও নিবে বিআইএন।
০৮. প্রতি বছর শুধুমাত্র একটি বৃত্তি দেওয়া হবে। যদি দুইজন প্রার্থী উল্লেখযোগ্য যোগ্যতা দেখায়, উভয়কেই নির্বাচিত করা হবে এবং বৃত্তির অর্থ ভাগ করে নেওয়া হবে। কোন উপযুক্ত প্রার্থী নির্বাচন না হলে ওই বছর কোন বৃত্তি প্রদান করা হবে না। যা জমা থাকবে ভবিষ্যতে পুরস্কারের জন্য তহবিলে।
০৯. বাছাই কমিটি এবং বিআইএন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে এবং সিদ্ধান্ত আপিল বা বিরোধ করতে পারবে না আবেদনকারীরা।
১০. ক্ষেত্রবিশেষে এই বৃত্তি বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রতিষ্ঠিত এবং সক্রিয় একটি সংস্থাকে প্রদান করা হবে।
১১. বৃত্তির অর্থ যেকোনো উপায়ে ব্যয় করতে পারবে বিজয়ীরা। তবে বুয়েটিয়ানদের নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত কিংবা হয়রানি, ধমক, র্যাগিং বা রাজনৈতিক বিষয়ে ব্যয় করতে পারবে না।
আরো পড়ুনঃ যমজ তিন ভাই-বোনের কৃতিত্বঃ সব পরীক্ষায়ই জিপিএ-৫ পেয়েছেন তারা