করোনা পরিস্থিতির উর্ধ্বগতি ঠেকাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বুস্টার ডোজ প্রদানে অগ্রাধিকার চেয়েছে ঢাবি কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়য়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান গতকাল সোমবার (৩ জানুযারি) স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহেদ মালিকের নিকট এ বিষয়ে আবেদন জানিয়েছেন।
এতে উল্লেখ আছে, কোভিড-১৯ (COVID-19) সংক্রমণ পরিস্থিতি মোকাবেলায় আপনার বিশেষ সহযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে ইতোমধ্যে দুই ডোজ টিকা প্রদান করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে শ্রেণি ও পরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। আবাসিক হলগুলো খোলা। বর্তমানে দেশে করোনা সংক্রমণ ধীরে ধীরে বেড়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায়, চলমান শিক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে অব্যাহত রাখার স্বার্থে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বুস্টার ডোজ প্রদান করা অতীব প্রয়োজন।
অতএব, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে চলমান রাখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পর্যায়ক্রমে অগ্রাধিকারভিত্তিতে বুস্টার ডোজ টিকা প্রদান কার্যক্রমের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্টদের সময় নির্দেশনা প্রদানসহ কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে আপনার সহযোগিতা বিশেষভাবে প্রত্যাশা করছি।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরুর পর রোববার পর্যন্ত ৭ কোটি ৪৪ লাখ ৮৩ হাজারের বেশি মানুষ অন্তত এক ডোজ টিকা পেয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫ কোটি ২৮ লাখ ৪৩ হাজারের বেশি মানুষ পেয়েছে দ্বিতীয় ডোজ। গত মাসের শেষ সপ্তাহে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হওয়ার পর ১ লাখ ১৪ হাজার ৭৪০ জন এই তৃতীয় ডোজ পেয়েছেন। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে কোভিড টিকার সুরক্ষা দুর্বল হয়ে আসায় বাড়তি আরেক ডোজ টিকা দেওয়া হচ্ছে, যাকে বলা হচ্ছে বুস্টার ডোজ।
দেশে এখন প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে ফাইজার, মডার্না, অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম এবং সিনোভ্যাকের টিকা দেওয়া হচ্ছে। তবে বুস্টার ডোজ হিসেবে ফাইজার, মডার্না অথবা অ্যাস্ট্রাজেনেকা দেওয়ার সুপারিশ করেছে ন্যাশনাল ইমিউনাইজেশন টেকনিক্যাল কমিটি-নাইট্যাগ।