The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
মঙ্গলবার, ২রা জুলাই, ২০২৪

বুয়েটে বিদ্যুৎ চাহিদার ১০ শতাংশ মিটবে সৌরবিদ্যুতে

সৌর বিদ্যুতের প্রসারে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ১৯টি ভবনের ছাদে সৌর বিদ্যুৎ প্যানেল স্থাপন করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ চাহিদার ১০ শতাংশ পূরণ হবে বলে প্রত্যাশা করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। স্থাপিত সৌর প্রকল্পের মাধ্যমে মোট ৩ দশমিক ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। বর্তমানে ২ দশমিক ৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বুয়েটের কাউন্সিল ভবনে সোলার প্রজেক্টের সিওডি (কমার্শিয়াল অপারেশনে ডেট) উদ্বোধন করা হয়। সেখানেই এসব তথ্য তুলে ধরেন এ প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সৌর বিদ্যুতের এ প্রকল্পের মাধ্যমে আগামী ২৫ বছরে বুয়েট প্রায় ১২ কোটি টাকা সাশ্রয় করবে। ২৫ বছরে বুয়েট নিজস্ব জনবল দিয়ে প্রকল্পটি পরিচালনা করলে এই পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে ২৫ কোটি টাকা। প্রতিবছর বিদ্যুৎ খরচ ৫০ লাখ টাকা সাশ্রয়ী হবে বুয়েটের। প্রকল্প সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে রয়েছে পিএসএল এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড গ্রিন এনার্জি লিমিটেড, জেনেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড ও প্যাসিফিক সোলার অ্যান্ড রিনিওয়াবল এনার্জি লিমিটেড। ২০২২ সালের ১০ নভেম্বর এই প্রকল্পটি শুরু হয়।

অনুষ্ঠান শেষে বুয়েটের ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী পুরকৌশল ভবনের ছাদে রূফটপ সোলালের প্রকল্প পরিদর্শন করেন অনুষ্ঠানের অতিথি ও স্টেকহোল্ডাররা।

বুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, সৌর বিদ্যুতে বুয়েটে যে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে সেটি বাংলাদেশে অনন্য ঘটনা। বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বুয়েট প্রথম, যাদের সব ছাদে সৌরবিদ্যুতের সোলার প্যানেল বসানো হয়েছে। বাংলাদেশে বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেখানকার সব ভবনের ছাদে সৌর বিদ্যুৎ স্থাপন করার সুযোগ রয়েছে। নতুন নতুন প্রোগ্রামের মাধ্যমে সৌরবিদ্যুতের খরচ সাশ্রয়ী করতে হবে।

এসময় তিনি ইডকলকে এ খাতে গবেষণার জন্য বুয়েটকে অর্থায়ন করার আহ্বান জানান। যেখানে রুফটপ সোলার স্থাপন করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি একটা মাইলস্টোন তৈরি করা যাবে।

বক্তব্যে ইডকলের নির্বাহী পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর মোরসেদ বলেন, সরকারের লক্ষ্যমাত্রা আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ধরা হয়েছে। বর্তমানে আমরা ৫ শতাংশের কাছাকাছি রয়েছি। ২০২৫ সালের মধ্যে ইডকলকে ৩০০ মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের টার্গেট দেওয়া হয়েছে। এটা খুবই ছোট একটা লক্ষ্যমাত্রা। আমরা সংশ্লিষ্ট সময়ে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি।

তিনি বলেন, ইডকল নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের বিভিন্ন সেগমেন্টে বিনিয়োগ করছে। বর্তমানে রুফটপ সোলারটি বহুলাংশে বাণিজ্যিকভাবে অগ্রগতি হয়েছে। এখাতে বিনিয়োগের জন্য কমার্শিয়াল ব্যাংকগুলোকে আরও এগিয়ে আসতে হবে। এ খাতে বিনিয়োগের জন্য ফান্ডিংটা বড় চ্যালেঞ্জ। সেটি আমরা কাটিয়ে উঠতে চাই। বুয়েটে আজকে রূফটপ সোলার নিয়ে যে কাজটি হলো, সেটিকে আরও প্রসারিত করতে বুয়েট-ইডকল কারিগরি জায়গাগুলোতে আরও কাজ করতে পারে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.