রাবি প্রতিনিধি: ‘বি’ ইউনিটের মধ্য দিয়ে শেষ হলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২৩-২০২৪ শিক্ষা বর্ষের স্নাতক (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষা।
তিন দিনব্যাপী এই পরীক্ষার শেষ দিনে বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) ইউনিট ‘সি’ গ্রুপ-৫: অ-বিজ্ঞান (সকাল ৯টা থেকে ১০টা), ইউনিট বি গ্রুপ-১: বাণিজ্য (বেলা ১১টা থেকে ১২টা) ও গ্রুপ-২: অ-বাণিজ্য (বেলা ১টা থেকে ২টা) এর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
সি ইউনিটের গ্রুপ-৫ এর পরীক্ষায় ১ হাজার ৭৭৭ জন এবং বি ইউনিটের গ্রুপ-১ (বাণিজ্য) ১৫ হাজার ৬২৫ জন ও গ্রুপ-২ (অ-বাণিজ্য) ১৮ হাজার ৯১৬ জন পরীক্ষার্থী ছিলো। পরীক্ষায় উপস্থিতির হার ছিল ‘সি’ ইউনিটের অবিজ্ঞান গ্রুপে ৯৫.৩৩; ‘বি’ ইউনিটের বাণিজ্য গ্রুপে ৯১.৮৪ ও অবাণিজ্য গ্রুপে ৮৭.৩২, গড়ে ৯১.৫০ শতাংশ।
এর আগে, বেলা সাড়ে ১১টায় ডীনস কমপ্লেক্সের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য ভর্তি পরীক্ষা সম্পর্কে গণমাধ্যম কর্মীদের অবহিত করেন। সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম, উপ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. অবায়দুর রহমান প্রমানিক, বি ইউনিটের প্রধান সমন্বয়কারী ও বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের অধিকর্তা অধ্যাপক এ এস এম কামরুজ্জামান, ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক জিন্নাত আরা বেগম, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. তারিকুল হাসান, প্রক্টর অধ্যাপক মো. আসাবুল হক, ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম সাউদ, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডেসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
তিন দিনব্যাপী এই ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সহযোগিতা প্রদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় জনপ্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষ, গোয়েন্দা সংস্থা, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, স্থানীয় এলাকাবাসী, ক্যাম্পাস ও বাইরের গণমাধ্যম প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার। আগামীতেও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকাণ্ডে অনুরূপ সহযোগিতা পাওয়া যাবে বলে উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উপাচার্য আরো বলেন, সংশ্লিষ্ট সকলের সতর্কতামূলক পদক্ষেপের ফলে এবারের ভর্তি পরীক্ষায় কোনো প্রকার জালিয়াতি বা কারসাজির ঘটনা ঘটেনি। এবার ভর্তিচ্ছুদের নিবন্ধনের শুরু থেকেই কৃত্রিম বুদ্ধিমতত্ত্বাসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে কোনোরূপ অসদুপায় অবলম্বন রোধ করা সম্ভব হয়েছে বলে জানান তিনি।