দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, এখন এর হার ২৫ শতাংশ জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সরকারঘোষিত ১১ দফা বিধিনিষেধের মধ্যে বিয়ে-শাদিসহ বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান, সামাজিক অনুষ্ঠান এখন বন্ধ রাখতে হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে স্বাস্থ্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ডিসিদের সঙ্গে অধিবেশন শেষে এ কথা জানান তিনি।
ডিসিদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, অনেক সময় কোয়ারেন্টাইন ঢিলেঢালাভাবে হয়। ফাঁকফোকর দিয়ে বের হয়ে যান অনেকেই এবং সংক্রামিত করে। এই বিষয়গুলো বলেছি আপনারা নজরদারিতে রাখবেন, যাতে কোয়ারেন্টাইন ঠিকমতো হয়। এছাড়াও ল্যান্ডপোর্ট, সিপোর্ট, এয়ারপোর্টেও স্ক্রিনিং চলছে। সেগুলো যাতে ঠিকমতো দেখেন ও যাতে সেখানে ফাঁকি না দেওয়া হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, গতকাল সাড়ে ৯ হাজার করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং ১২ জন মারা গেছেন। আতঙ্কিত না হলেও এটা আশঙ্কাজনক ও চিন্তার কারণ। আমরা জেলা প্রশাসকদের বলেছি গতবার দ্বিতীয় ঢেউ বা প্রথমে যেভাবে সহযোগিতা করেছেন এবারও সেভাবে সহযোগিতা আশা করছি। আপনারা (ডিসি) একটি জেলা পর্যায়ে কমিটির সভাপতিত্ব করেন। সেখানে সবাইকে নিয়ে কাজ করবেন। আমাদের স্থানীয় যারা জনপ্রতিনিধি আছেন তাদের নিয়েও কাজ করবেন।
তিনি বলেন, ওমিক্রন যেভাবে বাড়ছে সেটার লাগাম ধরে রাখতে আমাদের কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, ১১ দফা বলতে পারেন। বিধিনিষেধগুলো যাতে বাস্তবায়ন করা হয়। বাস্তবায়নের মূল হাতিয়ার জেলা প্রশাসকরা।
”জেলা পর্যায়ে এটি করতে হবে। যখন বাস, ট্রেন, স্টিমারে লোক চড়বে তাকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। মাস্ক পরতে হবে, সামাজিক দূরত্ব যতটুকু সম্ভব বজায় রাখতে হবে। যারা স্বাস্থ্য মানবে না, এসব অপকর্ম করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলেছি।”
পর্যাপ্ত টেস্ট কিটস আছে ও অক্সিজেনের অভাব নেই জানিয়ে মন্ত্রী জানান, আগের তুলনায় অনেক ভালো অবস্থায় আছি। প্রায় ১৩০টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন স্থাপন করা হয়েছে, যেটা আগে ছিলো না। টেলি মেডিসিনের ব্যবস্থা রয়েছে। ২০ হাজার বেড রয়েছে। ৪০ হাজার নতুন লোক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ১৫ হাজার ডাক্তার রয়েছে। ২০ হাজার নার্স রয়েছে, টেকনিশিয়ান রয়েছে। সার্বিক বিষয়ে প্রস্তুতি ভালো।