বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) গত আগস্ট মাসে ষষ্ঠ থেকে ২০তম গ্রেডে ১৫১ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী নেওয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল। এসব পদে আবেদন শেষ হয়েছে গত ৮ সেপ্টেম্বর। প্রতিষ্ঠানটির আরও অনেক কর্মী অবসরে যাওয়ায় নতুন করে ১০০ পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে বিসিক।
বিসিকের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে ৭০ জন নিয়োগের জন্য ছাড়পত্র পেয়েছি। এর মধ্যে আরও অনেকে অবসরে গেছেন। তাই সব মিলিয়ে নতুন করে আমরা ১০০ জন নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করব।’
তিনি বলেন, অক্টোবর বা নভেম্বর মাসে নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতে পারে। নতুন বিজ্ঞপ্তিতে নবম ও দশম গ্রেডের সঙ্গে নিচের গ্রেডের পদও থাকবে।
গত ৮ সেপ্টেম্বর আবেদন শেষ হওয়া ষষ্ঠ থেকে ২০তম গ্রেডে ১৫১ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগের পরীক্ষা আগামী তিন মাসের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে বিসিক সূত্রে জানা গেছে।
বিসিকের কয়েক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নবম ও দশম গ্রেডে কর্মকর্তা পদে সাধারণত ৮০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। আর ২০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
লিখিত পরীক্ষায় বেশির ভাগ প্রশ্ন এমসিকিউ হয়ে থাকে। এমসিকিউর সঙ্গে ১০ নম্বর ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন থাকে। নম্বর বণ্টনের ক্ষেত্রে বাংলায় ১৫, ইংরেজিতে ২০, গণিতে ২০, সাধারণ জ্ঞানে ১৫ এবং কম্পিউটার বিষয়ে ১০ নম্বরের প্রশ্ন থাকতে পারে।
১১-২০তম গ্রেডে নিয়োগের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মচারী নিয়োগবিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়া হয়। এসব গ্রেডে ৭০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্ন হয়ে থাকে। এমসিকিউ পরীক্ষায় যাঁরা পাস করেন, তাঁদের ১০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়।
১১-২০তম গ্রেডের এমসিকিউ পরীক্ষায় নম্বর বণ্টনের ক্ষেত্রে বাংলায় ২০, ইংরেজিতে ২০, গণিতে ২০ এবং সাধারণ জ্ঞানে ১০ নম্বর বরাদ্দ থাকে। তবে এই নম্বর বণ্টন সব সময় নির্দিষ্ট নয়, কম বেশি হতে পারে।
বিসিকের নিয়োগ পরীক্ষা সাধারণত তিনটি প্রতিষ্ঠান নিয়ে থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ) এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) প্রশ্ন করে থাকে। এ ছাড়া বিসিকের একটি নিয়োগ কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটিতে শিল্প মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি থাকেন।