বাকৃবি প্রতিনিধিঃ ‘দুগ্ধ উৎপাদন করুন, পান করুন এবং সুস্থ জাতি গড়ুন’ শীর্ষক স্লোগানে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বিশ্ব দুগ্ধ দিবস-২০২৪ পালিত হয়েছে।
শনিবার (১ জুন) সকাল সাড়ে ১০ টায় দিবসটি উপলক্ষ্যে পশুপালন অনুষদ থেকে একটি র্যালি বের করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি বিজ্ঞান বিভাগ। র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলানায়তনে শেষ হওয়ার পর একটি সেমিনার আয়োজন করা হয়।
মানুষের মাঝে দুধের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে দুধপানে আগ্রহী করতে দিবসটি উপলক্ষে দিন ব্যাপি নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দিনের শুরুতে সকাল ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে অবস্থিত স্কুল ও মাদ্রাসার ১ হাজার ৬শত শিশুদের দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য পান করানো হয়।
ডেয়রি বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. মাসুমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আউয়াল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশুপালন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ছাজেদা আখতার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও ডেয়রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ, ডেয়রি বিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মো. নুরুল ইসলাম ও অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. এম. এ. সামাদ খান। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক এবং পশুপালন অনুষদের সকল শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও ডেয়রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোহেল রানা সিদ্দিকী। এসময় তিনি বলেন, অনেকেই মনে করেন দুধ খেলে গ্যাস্ট্রিক ও পেট খারাপসহ অন্যান্য সমস্যা হয়। দুধের মধ্যে গ্যাস্ট্রিক বা অন্যান্য সমস্যা হওয়ার মতো কোনো উপাদান নাই। মূলত ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতার জন্য এই সমস্যাগুলো কিছু মানুষের মধ্যে দেখা যায়। ছোটোবেলা থেকে দুধ খাওয়ার অভ্যাস না থাকার কারণে এই সমস্যাটি হয়। তবে এর সমাধান হিসেবে ল্যাকটোজ ছাড়া দুধগ্রহণ বা বিভিন্ন চিকিৎসার ব্যবস্থাও রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দুধ খেলে ক্যান্সার হয় এটিও অনেকের একটি ভ্রান্ত ধারণা। বরং দুধে উপস্থিত কিছু উপাদান ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। দুধ ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যও উপকারী। দৈনিক ২৫০ মিলিলিটার দুধপান করলে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা ৪০ শতাংশ কম থাকে। দুধ গরম করলে এর গুণাগুণ নষ্ট হয় এটিও একটি ভুল ধারণা। দুধে উপস্থিত ক্ষতিকর জীবানুকে ধ্বংস করার জন্য তাপ দেওয়া প্রয়োজন।