ফজলে রাব্বী পরশ, রাবিঃ বিশ্ব আরবি ভাষা দিবস উপলক্ষ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আলোচনা সভা ও কবিতা পাঠের আয়োজন করা হয়েছে।
শনিবার (২৩ই ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়াতে ‘আরবি একাডেমি, বাংলাদেশ’ এর উদ্যোগে এ অনুষ্ঠান হয়।
এসময় আরবি একাডেমির নির্বাহী পরিচালক ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের প্রফেসর ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদের সভাপতিত্বে এবং হাফিজুর রহমান বাবুর সঞ্চালনায় এ সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সুমাইয়া খানম ও আরবি বিভাগের অধ্যাপক মো. মতিউর রহমান-২।
অনুষ্ঠানে বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সুমাইয়া খানম বলেন, ভাষা আমাদের অনুভূতিকে প্রচার করার বাহন। বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। তাই আমরা এ ভাষায় কথা বলে থাকি। ধর্মীয় দিক থেকে আরবি আমাদের আত্মায়, রক্তে ও সত্ত্বার মধ্যে রয়েছে। এভাবে বাংলাও আমাদের আত্মায় ও রক্তে মিশে আছে। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে আমাদের ইংরেজি ভাষাও শিখতে হবে। কারণ ইংরেজি আন্তর্জাতিক ভাষা হওয়ায় সকল ক্ষেত্রেই আমাদের ইংরেজি প্রয়োজন।
তিনি আর বলেন, অনেকেই আরবিতে পড়ে হীনম্মন্যতায় ভোগেন। এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুধু আরবিতে নয় যারা বাংলায় পড়াশোনা করেন তারাও অনেক সময় হীনম্মন্যতায় ভোগেন। কিন্তু এমন হীনম্মন্যতায় ভোগার কোনো কারণ নেই। আমি ভাষার মাধ্যমে কী বুঝাচ্ছি সেটাই মূল বিষয়। সেটা যেকোনো ভাষায় হোক।
আরবি বিভাগের অধ্যাপক মো. মতিউর রহমান-২ বলেন, আমরা আরবি নিয়ে অনেকে হীনম্মন্যতায় ভুগি। যদি আরবি নিয়ে মনের মধ্যে দুর্বলতা কাজ করে তাহলে তা আমাদের। এজন্য আমরা এ বিভাগে পড়াশোনা করলেও আরবিকে মর্যাদা দিতে পারছি না। দেশের বহু মানুষ যারা মধ্যপ্রাচ্যে চাকরি বা কাজ করতে যাচ্ছেন তাদের আরবি ভাষার উপর দক্ষতা থাকলে আরও ভালো ফলাফল পাবে। সেসব মানুষের কাছেও আরবিকে পৌঁছে দিতে হবে।
এসময় বক্তারা বলেন, আরবি ভাষা বিশ্বে জীবন্ত ও ঐতিহ্যবাহী এবং সমৃদ্ধ ভাষাগুলোর মধ্যে একটি। আমরা একজন শিক্ষার্থী হিসেবেও বিভাগে ভর্তির পরও চিন্তা করি না যে আরবি ভাষা গুরুত্ব এবং এটা কী জন্য চর্চা করছি। আমাদের মাঝে অনেকের সিলেবাস সম্পর্কে না জানার ফলে ধরণা করি যে, আরবি সাহিত্যকে ধর্মীয়ভাবে পড়াশোনা হয়। আরবি একাডেমির উদ্দেশ্য আরবির সমৃদ্ধ সাহিত্যকে সাহিত্যমোদী মানুষের মাঝে তুলে ধরা। আরবি পৃথিবীর একমাত্র প্রাচীনতম ভাষা যেটি বিস্ময়করভাবে বিবর্তনমুক্ত থেকে আজ অবধি দাপটের সাথে টিকে আছে।