রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিঃ আজ ২১ জানুয়ারি (শনিবার) সেচ্ছাসেবী সামাজিক ও শিক্ষামূলক সংগঠন আলোকবর্তিকা’র ৪র্থ বার্ষিক উপলক্ষে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ ও সম্মাননা স্মারক প্রদান অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম বলেন, তরুণদের আদর্শ মানুষ হিসেবে তৈরি হতে হবে। আদর্শ মানুষ নির্ণয় করতে নানা মানুষের কাছে নানারকম ভ্রান্তি তৈরি হয়, তবে আদর্শ মানুষ কে হবে সেটির জন্য একটি সহজ নির্ণায়ক আছে। বাংলাদেশর যে মুক্তিযুদ্ধ সূচিত হয়েছিল হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এবং তিনি আমাদের চারটি মূলনীতি নির্ধারণ করেন– অসাম্প্রদায়িকতা, গণতন্ত্র, ন্যায্যতার প্রশ্নে সমাজতন্ত্র এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদ। আজকের এই তরুণদের নিজেদের মূল্যায়নের প্রয়োজন রয়েছে, যে তারা যে কাজগুলো করছেন সেই কাজগুলোর কতটুকু এই চার মূলনীতি থেকে দূরে কিংবা কতটুকু জাতীয় মূলনীতির সঙ্গে সমার্থক কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন।
যদি তারা এই চার মূলনীতির ধারক হয়ে থাকেন তাহলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত যে সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম তার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা শুরু করেছেন তা বিনির্মাণ নিশ্চিত এবং সহজসাধ্য হবে। তবে এই কাজ করতে গেলে আমাদের এই চেতনাধারণের পাশাপাশি পরিবর্তমান বিশ্বের সাথে আমাদের তাল মিলিয়ে চলার সামর্থ্য অর্জন করতে হবে।
সেকারণে আমাদের শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিবান্ধব হতে হবে, প্রযুক্তির ব্যবহার শিখতে হবে এবং সে ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুকন্যা ২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর যে স্মার্ট বাংলাদেশের পরিকল্পনা দিয়েছেন, সেই স্মার্ট বাংলাদেশের মূলকথা উপলব্ধি করতে হবে এবং সে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়ে আমাদের এই তরুণদের পাঠে যুক্ত হতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশের যে চার অনুষঙ্গ — স্মার্ট সরকার, স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সমাজ, এটি বিনির্মাণে যদি আমরা সমর্থ হই তাহলে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের এখন যে সুনাম এবং প্রসার শুরু হয়েছে তা অব্যাহত থাকবে এবং অবশ্যই বাংলাদেশ যে লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে এবং বঙ্গবন্ধুকন্যার ২০৪১ সালের সমৃদ্ধ বাংলাদেশের যে স্বপ্ন তা সার্থক হবে৷
তবে শিক্ষার্থীদের কে সন্ত্রাস, মাদক ও জঙ্গিবাদ থেকে দূরে থাকতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের সংস্কৃতি চর্চায় নিয়োজিত হতে হবে। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও রবীন্দ্রাদর্শের সম্মিলনে সংস্কৃতি চর্চার একটি বাতাবরণ সৃষ্টি করেছে। শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনটি সময়োপযোগী একটি সঠিক কাজ হয়েছে বলে উপাচার্য মনে করেন। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় যেভাবে সংস্কৃতি চর্চা করছে আমাদের তরুণ শিক্ষার্থীরাও যদি নিজেদেরকে সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত রাখেন তাহলে তাই হবে যথার্থ দেশপ্রেমের কাজ।
শাহজাদপুর সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এইসভায় সভাপতিত্ব করেন আলোকবর্তিকা’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সুমনা আক্তার শিমুর। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহজাদপুর সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব এস এম সাইফুল ইসলাম। আরো উপস্থিত ছিলেন শাহজাদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি বিমল কুৃমার কুন্ডু, ৭১ টেলিভিশনের সাংবাদিক জনাব মাসুদ পারভেজসহ ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় কর্মীবৃন্দ।