The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪

বিশ্বসেরাদের তালিকায় ইবির ৭৩ জন গবেষক

ইবি প্রতিনিধি: বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় এবার স্থান পেয়েছেন কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ৭৩ জন শিক্ষক ও গবেষক। আন্তর্জাতিক খ্যাতনামা সংস্থা অ্যালপার ডজার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড সায়েন্টিস্ট র‍্যাংকিং-২০২৩’ এ বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় ইবির ৭৩ জন গবেষকের নাম উঠে এসেছে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ২০ জন।

এ বছরের তালিকায় ইবির গবেষকদের মধ্যে সব ধরনের ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থানে রয়েছেন ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আতিকুর রহমান। র‍্যাংকিং এ স্থান পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রাশিদ আসকারী।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাংকিংয়ে সেরা ১০ জনের অন্যান্য গবেষকরা হলেন অধ্যাপক মিজানুর রহমান, অধ্যাপক এস এম মোস্তফা কামাল, অধ্যাপক অশোক কুমার চক্রবর্তী, অধ্যাপক জালালউদ্দিন, অধ্যাপক গাজী আরিফুজ্জামান, অধ্যাপক আবু হেনা মোস্তফা জামাল, অধ্যাপক মিনহাজউল হক, অধ্যাপক দীপক কুমার পাল, অধ্যাপক রুহুল আমীন ভুইয়া।

ওয়ার্ল্ড সায়েন্টিস্ট র‍্যাংকিং-২০২৩ সূত্রে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২৪ জন গবেষক, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০০ জন গবেষক এ তালিকায় স্থান পেয়েছেন। এদিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪০ জন গবেষক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২৫ জন গবেষক, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০ জন গবেষক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৪ জন গবেষক, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২১ জন গবেষক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭২ জন গবেষক, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৮৬ জন গবেষক, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭৪ জন গবেষক স্থান পেয়েছেন বিশ্বসেরা গবেষক ও বিজ্ঞানীর তালিকায়।

সংস্থার ওয়েবসাইট (www.adscientificindex.com) সূত্রে জানা যায়, ইনডেক্সটি (AD Scientific Index) সারাবিশ্বে গবেষণাপত্রের কার্যকরিতা মূল্যায়নের মাধ্যমে ‘এইচ’ এবং ‘আই-১০’ সূচকে এ তালিকা তৈরি করা হয়। এ পদ্ধতির উদ্ভাবক দুই গবেষকের (অধ্যাপক মুরত আলপার এবং চিহান ডজার) দাবি, বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী-গবেষক-অধ্যাপকদের কাজ এবং তাদের শেষ ৬ বছরের কাজের তথ্য বিশ্লেষণের পর তা এইচ-ইনডেক্স, আইটেন-ইনডেক্স স্কোর এবং সাইটেশনের ওপর ভিত্তি করে এ তালিকা প্রকাশিত হয়। এতে নিজ নিজ গবেষণার বিষয় অনুযায়ী গবেষকদের বিশ্ববিদ্যালয়, নিজ দেশ, মহাদেশীয় অঞ্চল ও বিশ্বে নিজেদের অবস্থান জানা যায়।

তাছাড়া সূচকটিতে গবেষকদের বিশ্লেষণ ও বিষয়গুলো নির্দিষ্ট ক্যাটাগরিতে গণ্য করা হয়। কৃষি ও বনায়ন, কলা নকশা ও স্থাপত্য, ব্যবসায় ও ব্যবস্থাপনা, অর্থনীতি, শিক্ষা, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি, ইতিহাস দর্শন ও ধর্মতত্ত্ব, আইন, চিকিৎসা, প্রকৃতিবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞানসহ মোট ১২টি ক্যাটাগরিতে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.