শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘দেশে নতুন নতুন অনেক বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে। তবে আমাদের সবাইকে শিক্ষার মানের দিকে জোর দিতে হবে। শিক্ষার মানের ওপর নজর দিতে পারলে আমরা শিক্ষায়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এগিয়ে যেতে পারব।’
আজ সোমবার মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি আয়োজিত ‘ভাষা আন্দোলন: ইতিহাস বাস্তবতা’ শীর্ষক এক অনলাইন আলোচনা সভায় শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার মান বাড়াতে একাডেমিক মহাপরিকল্পনা নিতে হবে। তার সঙ্গে আসবে ভৌত মহাপরিকল্পনা। এর মাধ্যমে আমরা শিক্ষায়, বিজ্ঞানে এবং প্রযুক্তিকে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা আগের তিনটি বিপ্লব ধরতে পারিনি এইবার আমাদের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে ধরতেই হবে। এই শিল্প বিপ্লব ধরতে আমাদের মায়ের ভাষা অর্থাৎ আমাদের মাতৃভাষা শেখাটা জরুরি।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশে মঙ্গলবার থেকে মাধ্যমিকের ষষ্ঠ শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম পাইলটিং শুরু হচ্ছে। আগামী মার্চে প্রাথমিকের প্রথম শ্রেণিতে পাইলটিং শুরু হবে। নতুন যে শিক্ষাক্রম চালু হচ্ছে সেটা হবে আনন্দময়। শিক্ষার্থীরা আনন্দের সঙ্গে এ শিক্ষাক্রমে শিখতে পারবে। তারা সমাজকে এবং শিক্ষকদের প্রশ্ন করার মাধ্যমে শিখবে। তবে শিক্ষার্থীদের শুধু প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হয়ে উঠলেই চলবেনা, পাশাপাশি তাদের ভালো মানুষ হতে হবে।’
এ সময় বিজ্ঞানসহ অন্য বিষয়ে শেখার ক্ষেত্রে মাতৃভাষার ব্যবহার আরও বাড়ানো হবে বলে তিনি জানান।
আলোচনা সভায় জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বলেন, ‘আমরা এখনো ডিএনসিসিসহ নানা ইংরেজি শব্দ প্রতিদিন ব্যবহার করছি। যখন কোন দিবস আসে তখন সেটা নিয়ে আলোচনা করি, তারপর ভুলে যাই। আমরা যেন সারা বছর এ বিষয়টি (মাতৃভাষা) নিয়ে আলোচনা করি। শুনেছি এখন থেকে রায় বাংলায় লেখা হবে। এটা আমাদের একটি ইতিবাচক অর্জন। এখন সবাই নিজের ভাষায় তাঁদের রায় পড়তে পারবে।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, জবি ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম, জবি শিক্ষিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল কালাম লুৎফুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।