নাইমুর রহমান: ১৯ এ পা দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় । ২০ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্টা বার্ষিকী। বিশ্ববিদ্যালয়টি শৈশব থেকে যৌবনে প্রদার্পন করলেও এর অবকাঠামোগত তেমন কোন উন্নয়ন চোখে পড়েনি । তবুও পাওয়া না পাওয়ার হিসেব না মিলিয়ে শিক্ষার্থীরা উল্লাসে মেতে উঠেন বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে। ২০ অক্টোবর ঘিরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের থাকে নানান ধরনের আবেগ-অনুভূতি ও অনুপ্রেরণার গল্প। জবি শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের ভাবনা এক করে তুলে ধরেছেন দ্যা রাইজিং ক্যাম্পাসের জবি প্রতিনিধি নাইমুর রহমান।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে প্রত্যাশার জায়গাটা অসীম। সে জায়গায় সব থেকে চাওয়া পাওয়া যায় এটা নারীদের জায়গায় বৈষম্যের একটি প্রতিমান দৃশ্য দেখা যায়। আবাসন নিশ্চিতকরণে মেয়েদের একটি হল ছাড়া অন্য কোন হল নেই। এটাকে আরো বেশি সুপ্রসার করে মেয়েদের আবাসস্থল নিশ্চিত করতে হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং ক্লাব কিংবা আলাদা সকল কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটিস এর জায়গায় আরো সম্পূর্ণ পরিবর্তন রূপে দেখতে চাই। যেখানে বিশ্বমানের সবকিছু সাথে মিল করন পাওয়া যাবে পাওয়া যাবে। পাশাপাশি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শুধু দেশে নয় বিশ্বমানের প্রত্যাশার জোর দাবি জানাই।
আফসানা মিমি, ইকোনোমিক্স বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বিশাল এক ইতিহাস রয়েছে । বাংলাদেশের একটি অন্যতম বিদ্যাপীঠ যার সৃষ্টিকূল সুপ্রসারিত । জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অতি শক্ত অবস্থান এবং ছাত্রবন্ধব হওয়ার জোর দাবি জানাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের পরিবেশের জায়গাটিকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যেন চিহ্নিতকরণ করা হয়, কারণ বাইরের পরিবেশটি দেখলে মনে হয় এটি একটি বিশ্ববিদ্যালয় নয় তাই প্রশাসন কাছে প্রত্যাশের জায়গাটা সবথেকে বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে জায়গাটিকে যেন অতি দ্রুত সুন্দর পরিবেশে আবহমান করা হয়। পরিশেষে প্রত্যাশার জায়গাটি প্রশাসনকে ছাত্র ও ছাত্রীবান্ধব চাই।
ফাতেমা ফেরদৌস রাকা, গনযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
“জ্ঞানচর্চা এবং মহৎ জীবন গঠনের অন্যতম বিদ্যাপীঠ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় “
পুরান ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ইতিহাস খ্যাত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছি।মাত্র ৭.৫ একর ক্যাম্পাসের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়টি
উচ্চমানের শিক্ষা তরুণ-তরুণীদের মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছে। যার ফলস্বরূপ আজ এই প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নানান গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে সাফল্যের সঙ্গে অবদান রাখছেন। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে,সম্প্রতি ২০২৪ সালে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এবং রাজপথে গুলিবিদ্ধ হয়ে ভাইদের শহীদি মৃত্যু,টিআইবির দুর্নীতিবিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন এবং শিক্ষা, সংস্কৃতি ও গবেষণা থেকে শুরু করে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন উচ্চপর্যায়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অগ্রণী ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়।এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নবীন শিক্ষার্থী হিসেবে জবির উক্ত অর্জন গুলো আমার এবং অন্য সকল মেধাবী শিক্ষার্থীর জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে কাজ করবে।
অতএব, নতুন ক্যাম্পাস দ্রুত নির্মাণ এবং সব রকমের প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ওঠে প্রতিযোগিতামূলক এই বিশ্বদরবারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান চর্চার এবং মহৎ জীবন গঠনের অন্যতম একটি ধারক ও বাহক হয়ে ওঠবে।
ইশতিয়াক আহমেদ খান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয় শব্দের নেপথ্যে- জাতিগত উন্নয়ন নিহিত।জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় চান্স পেয়ে নব্য শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা অতুলনীয়। গভীরতায় কারণও বহুতল। জন্মদিনের শুভেচ্ছা – জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে তবে জন্মদিন মানেই নতুন কিছু পূর্ণতা আমরা আশা করব! আমাদের প্রত্যাশার জায়গায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পূর্ণতা পাবে! বিশ্ববিদ্যালয় হতে মূল বৈশিষ্ট্যের গুণাবলীগুলো থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বঞ্চিত। সেই শূন্যতার প্রত্যাশার জায়গা থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আবাসন নিশ্চিতকরণটা সবথেকে বড় প্রত্যাশার জায়গা। বিশ্ববিদ্যালয় শব্দের মধ্যে ‘বিশ্বটি’ যুক্তিকরণ আছে এই প্রেক্ষাপটে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে বিশ্ববিদ্যালয়ে বাইরের দেশের ছাত্র-ছাত্রীর আগমন , যুগোপযোগী এবং শিক্ষার মান উন্নতিতে আমাদের অবদান অনস্বীকার্য হবে। বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বৃহৎভাবে সুযোগ-সুবিধা দাবি জানাই !পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস রুমের অবয়ব বিশ্বমানের দেখতে চাই।
তোমরা মোরে
দিয়েছো জীবন, দাওনি তবুও – প্রাণ।
আমারো শখ করে সাজতে,
তোমরা দাও মোরে সাজিয়ে।
আমি রাঙ্গলে রাঙাবো এ – দেশকে বিশ্বমানে তুলিবো ‘আমি’ বাংলাদেশকে।
আল মামুন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
“জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: গৌরবের ১৯ বছর ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ”
আজ ২০ অক্টোবর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের 19 তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য এই দিনটি একটি বিশেষ দিন। ২০০৫ সালের আজকের দিনে প্রতিষ্ঠার পর থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই দিনটি অতি আনন্দের সাথে উদযাপন করে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী হিসেবে এই দিনটি আমাদের জন্য উৎসবের থেকে কম নয়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মধ্যে অন্যতম। ২০০৫ সালের আজকের এই দিনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সর্বোচ্চ ২০ টি ডিপার্টমেন্ট নিয়ে যাত্রা শুরু করে। সেই থেকেই মাত্র দশ একর এর ক্যাম্পাস হওয়া সত্ত্বেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের হৃদয় মাঝে। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থাকলেও এখানে শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানের নাম উজ্জ্বল করেছে সর্বদাই। যার ফলশ্রুতিতে সম্প্রতি টাইমস হায়ার এডুকেশনের বিশ্ববিদ্যালয় রেংকিং এ বিশ্বব্যাপী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান ১৫০১+। এছাড়াও সরকারি-বেসরকারি সকল ক্ষেত্রে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা রয়েছে সাফল্যের শিখরে যা নিয়ে লিখা শুরু করলে হয়তো শেষ হবে না । তবে আমার বিশ্বাস বিশ্ববিদ্যালয়টির অবকাঠামগত কিছু উন্নয়ন নিশ্চিত করা গেলে আশা করা যায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় স্থান হবে আরো অনেক উপরে। যার মধ্যে অন্যতম আবাসন ব্যবস্থা,গবেষণার সুষ্ঠু পরিবেশ, সার্বিক শিক্ষার মান উন্নয়ন ইত্যাদি।এই সকল বিষয় নিশ্চিত করা গেলে আমার বিশ্বাস জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের গর্বের একটি অন্যতম কারণ হবে। তাই আজ বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে সকল শিক্ষার্থীর একটাই আশা সকল বাধা-বিপত্তি এড়িয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠুক বাংলাদেশের গর্বের স্থান।
মুনতাসির নাবিদ সংগ্রাম, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
টিবি/দ্যা রাইজিং ক্যাম্পাস