The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
মঙ্গলবার, ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪

বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন, উপাচার্যের পদত্যাগসহ ৭ দাবি বশেফমুবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের

ইয়াসির আরাফাতঃ জামালপুরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন ও উপাচার্যের পদত্যাগসহ সাত দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

শুক্রবার (৯ই আগস্ট) বিকেল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলন করেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক রিয়াদ হাসান। লিখিত বক্তব্যে ৭ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।

দাবিগুলো হলো-
১. ক্যাম্পাসে সব ধরনের সন্ত্রাস ও লেজুড়বৃত্তি এবং রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। ক্যাম্পাস হবে শিক্ষক, ছাত্র ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের রাজনীতিমুক্ত।

২. উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর ও ছাত্র হল প্রভোস্টসহ বর্তমান প্রশাসনকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। একই সঙ্গে ক্যাম্পাসে স্বৈরাচার সরকারের দোসর, ছাত্রলীগের সহায়তাকারী এবং টেন্ডার ও নিয়োগ বাণিজ্যে মদদদানকারী সেকশন অফিসার রাসেল মাহমুদ, সহকারী রেজিস্ট্রার আনিসুজ্জামান ও এস এম মোদাব্বির হোসেন, টেন্ডার বাণিজ্যে যুক্ত সহকারী প্রকৌশলী শহিদুজ্জামান, কর্মকর্তা অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মির্জা মো. আবদুল হালিম, কর্মচারী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামানকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে বহিষ্কার করতে হবে।
৩. নিয়ম বহির্ভূতভাবে সকল এডহক (আবু সায়েম চৌধুরী, ফারজিয়া মারিয়া তুন্না ও শিক্ষক ইলিয়াস সানির বউ আফসা তাসনিম (পুসন) ও আউটসোর্সিং ভিত্তিতে নিয়োগ বাতিল করে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

৪. যে সকল শিক্ষক কঠোরভাবে ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে ছিলেন তাদেরকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে অন্যথায় পদত্যাগ করতে হবে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক স্ট্যাটাস ও গুজব ছড়ানোর অপরাধে বাংলা স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক ইলিয়াস সানিকে বহিষ্কার করতে হবে।

৫. বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ইন্ধনে যেসব শিক্ষার্থী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের হুমকি দিয়েছে কিংবা আন্দোলনের বিরুদ্ধে সমর্থন দিয়েছে তাদের আবাসিক হলের আসন আজীবনের জন্য বাতিল করতে হবে। এর মধ্যে যারা কঠোরভাবে বিরুদ্ধে থেকে হেনস্তা করেছে এবং এতে নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের বহিষ্কার করতে হবে।

৬. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের পরামর্শের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় ও হলের নাম পরিবর্তন করতে হবে।

৭. কোনো শিক্ষককে কোনো পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে নিয়োগ প্রদান করতে হবে।

এ সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক লিটন মিয়া ও ফাইজুর রহমান ফাহিমসহ বিশ্ব বিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে সংবাদ সম্মেলনের পরপরই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন রেজিস্ট্রার সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের রাজনৈতিক সংগঠন, ছায়া সংগঠন, এবং এর কার্যক্রমের সাথে সব সম্পর্ক ও সম্পৃক্ততা সম্পর্ন নিষিদ্ধ করে৷

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.