The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪

বিশ্ববিদ্যালয়কে রিসার্চ ইউনিভার্সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে চাই : খুবি উপাচার্য

খুবি প্রতিনিধি: বর্তমানে সব বিশ্ববিদ্যালয় টিচিং ইউনিভার্সিটি হিসেবে পরিচিত। আমরা এ থেকে বেরিয়ে এসে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে রিসার্চ ইউনিভার্সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। পূর্বের থেকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থা অনেক আশাব্যঞ্জক। গবেষণা খাতে এ বছর বরাদ্দ বেড়ে সাড়ে ৫ কোটি টাকা হয়েছে। কেমিক্যাল বাজেট ৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন গবেষণার জন্য ভালো কেমিক্যাল আসছে। এতে শিক্ষার্থীদের ফলাফল ভালো হবে যা পাবলিকেশনের সংখ্যা বৃদ্ধি ও গবেষণায় সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই সময়ে বায়োটেকনোলজির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়েও বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক বিষয়ের প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বেশি। শিক্ষার্থীরা যদি পাঠ্যশিক্ষার পাশাপাশি হাতে-কলমে শিখতে পারে তা হবে পরিপূর্ণ। গত বুধবার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং (বিজিই) ডিসিপ্লিনের ফিল্ড ল্যাবরেটরি উদ্বোধন উপলক্ষ্যে, আয়োজিত সংক্ষিপ্ত আলোচনায় উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন এ কথা গুলো বলেন।

উপাচার্য বলেন, মানসম্মত শিক্ষার পাশাপাশি মানসম্মত গবেষণা প্রয়োজন। মানসম্মত গবেষণার জন্য অর্থ ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিরও প্রয়োজন রয়েছে। বিজিই ডিসিপ্লিনের গবেষণার জন্যও জায়গার প্রয়োজন ছিলো। নতুন এই ফিল্ড ল্যাবরেটরির মাধ্যমে বিজিই ডিসিপ্লিনের জায়গার সংকট অনেকটা দূর এবং গবেষণার সুবিধা বৃদ্ধি হয়েছে। এতে সবার জন্য গবেষণার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। এটি ভবিষ্যতে আরও বিকশিত হবে। এজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাসম্ভব সহযোগিতা দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে স্পেশালাইজড ল্যাবরেটরির পাশাপাশি বেসিক ল্যাবরেটরির প্রয়োজন। এই ফিল্ড ল্যাবটি সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের অধীনে থাকবে। আর উচ্চপর্যায়ের বিশ্লেষণধর্মী গবেষণাগুলো সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরিতে করা যাবে।

শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান কাজ দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করা। এজন্য পড়াশোনার প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ তৈরি করতে হবে। শিক্ষার্থীদের যথাযথভাবে পাঠদান ও সহযোগিতা করতে হবে। শিক্ষকদের গবেষণাকর্ম অব্যাহত রাখতে হবে। যা দেখে শিক্ষার্থীরা গবেষণায় উদ্বুদ্ধ হয়।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নিজেদের জ্ঞান ও মেধা দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে বিজ্ঞানসম্মত ‘আধুনিক ও স্মার্ট বাংলাদেশ’ হিসেবে গড়ে তুলতে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. শেখ জুলফিকার হোসেন, ডিসিপ্লিনের শিক্ষক প্রফেসর ড. খন্দকার মোয়াজ্জেম হোসেন, প্রফেসর ড. শেখ মো. এনায়েতুল বাবর। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ফিল্ড ল্যাবরেটরির সুপারভাইজার প্রফেসর ড. সাঈদা রেহানা। এসময় সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.