নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের পর শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়ন এই তিনটি মোটোকে সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাইকে নিয়ে কাজ শুরু করি। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন দিক থেকে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় পূর্বের অবস্থা থেকে অনেক এগিয়ে গিয়েছে। রংপুর ডিভিশনাল স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের আয়োজনে নবীন বরণ অনুষ্ঠানের বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জয়ধ্বনি মঞ্চে রংপুর ডিভিশনাল স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন কর্তৃক আয়োজিত নবীন বরণ ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতে ড. সৌমিত্র শেখর ১৯৭৫ সনের ১৫আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল শহিদদের প্রতি এবং জেল হত্যা দিবস ও মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহিদদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। বঙ্গবন্ধু আজীবন বাঙালির জন্য সংগ্রাম করেছেন, বাঙালির আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য নিজের স্বার্থ বিসর্জন দিয়েছেন। তিনি ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত এক উন্নত বাংলাদেশের নকশা করেছিলেন। কিন্তু ঘাতকদের বুলেট তাঁর সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন হতে দেয়নি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে নিজের জন্য না ভেবে দেশের জন্য ভাবতে এবং অন্যের উপকারে কাজ করতে রংপুর ডিভিশনের নবীন শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধান অতিথি।
উপাচার্য বলেন, “বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) এর বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি এপিএ র্যাংকিংয়ে ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ১৪তম হয়েছে। অথচ এর আগে ৪২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৯তম অবস্থানে ছিল নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়। আমি যোগদানেরপর ৪৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২৯তম অবস্থানে আসে এবং এবার ১৪তম অবস্থান দখল করতে সক্ষম হয়। আগামীতে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় আরও এগিয়ে যাবে এবং বিশ্ব এমন ভাবমূর্তি তৈরি হবে বিশ্ববাসী একনামে চিনবে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়কে।”
ড. সৌমিত্র শেখর আরও বলেন, “আমরা জানি তোমরা একে অন্যের প্রতি অত্যন্ত সহনশীল। তোমরা শুধু রংপুরের শিক্ষর্থীদের সাথেই নয় বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলের প্রতি আন্তরিক হবে। আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়কে এমন জায়গায় নিয়ে যেতে চাই যেখানে কোন দারোয়ান থাকবে না, থাকবে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা। এই ক্যাম্পাস হবে একটি নন্দন কানন। প্রথমটি জয় বাংলা এবং দ্বিতীয়টি জয় বঙ্গবন্ধু নামে দুইটি গেইট থাকবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকারও পরিচয় যখন শুনবে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের তখন যেন ইতিবাচক ধারণা তৈরি এমন অবস্থায় আমরা নিয়ে যেতে কাজ করছি।”
অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. এ কে এম জাকির হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন প্রফেসর তপন কুমার সরকার। রংপুর ডিভিশনাল স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি নাজমুল প্রামাণিক অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। আলোচনা সভার পর শুরু হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।