বিশ্বকাপ ক্রিকেট-২০২৩ নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভাবনা
ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের উদ্বোধনী ম্যাচের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ২০২৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপ। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দর্শকরাও খেলাগুলো উপভোগ করেছে। দর্শকদের মনে বিশ্বকাপ নিয়ে অন্যরকম এক আনন্দ ও অনুভূতি বিরাজ করছে। দর্শকের বাইরে শিক্ষার্থীরাও না। বিশ্বকাপ নিয়ে শিক্ষার্থীদের অনুভূতি ও ভাবনা তুলে ধরেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক মো: নিয়ামতুল্লাহ।
বিশ্বকাপ ক্রিকেটের মাধ্যমে দেশ-বিদেশে নিজেদের উপস্থাপন করার সুযোগ থাকে। এখানে বিভিন্ন দেশ অংশগ্রহণ করে এবং শিরোপা অর্জনের জন্য নিজেদের সেরাটা দিতে চেষ্টা করে। জন্মসূত্রে আমি বাংলাদেশি তাই আমিও অবশ্যই চাইবো বাংলাদেশ ভালো করুক। আসলে এটা প্রতিটি দেশের সমর্থনকারীদের স্বপ্নও বটে। যদিও এখন অবধি খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। কিন্তু এর মাঝে আমার কাছে একটা জিনিস খারাপ লাগে সেটা হলো যখন কোনো দল কোনো কারণে খারাপ খেলে তখন আমরা নিজেরাই তাদের নিয়ে বিদ্রুপ করি। একটা জিনিস আমরা বুঝতে পারিনা মুখে বলাটা খুব সহজ কিন্তু কোন কাজ সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে করতে গেলে বোঝা যায় সেটা কতোটা সহজ। আর কেউ ইচ্ছে করে কোনো কিছুতে খারাপ করে না। খারাপ করার পেছনে সে দেশের অভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যা থাকে। তবে সেগুলোকে আমলে নিলে উন্নতি করা সম্ভব। সর্বোপরি আমি সবাইকে অনুরোধ করবো আমরা নিজেদের দেশকে ও খেলোয়াড়দেরকে সমর্থনের পাশাপাশি অন্যান্য দেশের খেলোয়াড়দেরকেও সম্মান করবো।
শিক্ষার্থী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
বিশ্বকাপ মানেই চিত্তচাঞ্চল্য! তা ফুটবল হোক বা ক্রিকেট। যদ্যপি ক্রিকেট আমার বেশিই পছন্দ, মাতৃভূমির সংযুক্তি থাকার জন্য। এবারের বিশ্বকাপ আসরের আমার প্রথম পছন্দ অবশ্যই টিম টাইগারস।
ক্রিকেটের সায়েন্সটা ফিজিক্স, ক্যামিস্ট্রি-ম্যাথ বা বায়োলজির থেকেও জটিল, কখন যে কি ঘটে যায় বলাটা মুশকিল! অবিস্মরণীয় একটি বিশ্বকাপ হোক এটাই চাওয়া।
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
আমাদের জেনারেশনের কাছে ক্রিকেট কৈশোরের আবেগ, যৌবনের প্রথম প্রেম। আবেগ নামক নদীর এ কিনার থেকে ও কিনারে দুলতে দুলতে আজ বাংলাশেদের ক্রিকেট নতুন স্বপ্নের বীজ বুনেছে। আমরা যথেষ্ট ভারসাম্যপূর্ণ একটা দল, এবারের বিশ্বমেলায় তাই সুবাস রেখে যেতে চাই বাংলাদেশের নামে। আরও একটা কারণে এই বিশ্বকাপ অনেক বেশি স্পেশাল। সর্বকালের সেরাদের কাতারে একজন বাংলাদেশির নাম জ্বলজ্বল করবে বলে মনে করি সে হলো বাংলাদেশের পোস্টার বয় সাকিব আল হাসান।
হয়তো আবারও তীরে এসে তরী ডুববে, স্বপ্নভঙ্গের স্রোত বয়ে যাবে ৫৬ হাজার বর্গমাইলে। কিন্তু হতাশ হওয়ার কিছু নেই। স্বপ্ন একদিন ধরা দিবেই দিবে।
শিক্ষার্থী, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
ক্রিকেট হচ্ছে একটা আবেগের নাম। ছোটকালে ভাবতাম ক্রিকেট ই বুঝি বাংলাদেশের জাতীয় খেলা । আর এখন চলে সেই ক্রিকেটের বিশ্বকাপ। দীর্ঘ চার বছর অপেক্ষার পর বিশ্বকাপ শুরু হয়েছে। বিশ্বকাপ নিয়ে উন্মাদনা একটু বেশিই থাকে সবসময় । আমি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের একজন পাগল ফ্যান, “জিতলেও বাংলাদেশ হারলেও বাংলাদেশ” এই মর্মে বিশ্বাসী একজন মানুষ। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ তাদের সর্বোচ্চটা দিবে আশা করি। যদিও এখন অবধি খুব একটা ভালো করতে পারেনি। তবে প্রত্যাশা করি ভালো করবে।
শিক্ষার্থী, হাজি দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
নতুন রুপে বাংলাদেশ টিম । এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব্যাটিং ডিপার্টমেন্ট বলিং ডিপার্টমেন্ট অনেক স্ট্রং। এবার যেহেতু ভারতের মাটিতেই বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে সেহেতু বিশ্বকাপের ফোকাস ভারতের দিকে। বিশ্বকাপে শক্তিশালী কিছু টিম আছে ভারত, পাকিস্তান, ইংল্যান্ড, নিউজল্যান্ড ও সাউথ আফ্রিকা সেহেতু স্পেসিফিকভাবে বলতে পারছি না বিশ্বকাপ ট্রফি কোথায় যাবে। আমার ভাবনায় ইংল্যান্ড কে এগিয়ে রাখছি বিশ্বকাপে। তবে বাংলাদেশ ভালো কিছু করবে এরকমও প্রত্যাশা করি।
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
ব্যাট বলের খেলা ক্রিকেট। ক্রিকেটের প্রতিটি বলই আমাদের মাঝে আবেগ তৈরি করে, মুগ্ধতা ছড়ায়। আর বিশ্ব আসরে বাংলাদেশ থাকা মানেই সেই রোমাঞ্চ বহুগুণ বেড়ে যাওয়া। ঠিক এমনি অবস্থা আমারও। তবে দুঃখের বিষয় যুবসমাজের মাঝে বিশ্বকাপ ক্রিকেট আনন্দের সাথে জুয়া,বাজি নামক মহামারী নিয়ে এসেছে। আমাদের চারপাশেই আপনি লক্ষ করলেই দেখবেন এই সামাজিকব্যাধি কতটা সহজলভ্য হয়ে পড়েছে। এই কালো দিকটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে আমার কাছে মনে হয় বিশ্বকাপের আনন্দ আরও বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে। আমার পছন্দের দল অবশ্যই বাংলাদেশ। পাশাপাশি নিউজিল্যান্ডও। আশা করছি বাংলাদেশ দল ভালো খেলবে। তবে এবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হবে নিউজল্যান্ড।
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া