বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে বিনিয়োগ হারানো টেন মিনিট স্কুলসহ স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করা হবে। সোমবার (১২ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
নাহিদ ইসলাম বলেন, টেন মিনিট স্কুলসহ যেসব স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান ছাত্র আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে সরকারি বিনিয়োগ হারিয়েছিল, তাদের বিনিয়োগ অব্যাহত রাখার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা হবে। এসময় ছাত্র-জনতার আন্দোনের সময় ইন্টারনেট বন্ধ ইস্যুতে রিপোর্ট আজই পাওয়া যাবে জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় সাবেক প্রতিমন্ত্রীসহ যারা জড়িত থাকবেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার পর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে যান তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা। এসময় তাকে স্বাগত জানান কর্মকর্তারা। পরে বিসিসি সম্মেলন কক্ষে বৈঠকে বসেন নাহিদ ইসলাম। বৈঠকের শুরুতেই হাসিনা সরকারের পতন আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর আইসিটি বিভাগের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে টেন মিনিট স্কুলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সিইও আয়মান সাদিক একটি পোস্ট করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদ জানান আয়মান সাদিক। তিনি তার ফেসবুকে লিখেন, ‘রক্তাক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়! আমার ক্যাম্পাসে রক্ত কেন? প্রতিবাদ জানাই।’
তার এই পোস্টের পরই ‘টেন মিনিট স্কুল’-এর জন্য বিনিয়োগ প্রস্তাব বাতিল করে স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন সরকারি এই কোম্পানি ফেসবুক পেজে লিখে, ‘টেন মিনিট স্কুল-এর জন্য ৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব স্টার্টআপ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বাতিল করা হলো।’