The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪

বিদেশি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বেশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে

দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি বিদেশি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়ছে প্রতিনিয়ত। ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ৮৩ জন বেশি বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছিল। একই বছর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী বেশি ছিল ৭৮৩ জন।

গত ডিসেম্বরে প্রকাশিত বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ৪৭তম বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ২০২০ সালে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থী ছিল ১৫৫০ জন। ২০১৯ সালে ছিল ১৪৬৭ জন। আবার ২০২০ সালে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় বিদেশি শিক্ষার্থী ছিল ৭৬৭ জন।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন জানায়, প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় পড়তে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা। ডিজিটালাইজেশনের কারণে উচ্চশিক্ষার কোর্স কারিকুলাম, সিলেবাস ইত্যাদি দেখেই তারা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আগ্রহ পাচ্ছেন বেশি। অনলাইনের মাধ্যমেও পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন তারা।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০২০ সালে দেশের ৯৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৩২টিতে বিদেশি শিক্ষার্থী ছিল। ২৬টি দেশের শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। দেশগুলো হচ্ছে—ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, চীন, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, ইয়েমেন, ফিলিস্তিন, গাম্বিয়া, মরক্কো, সাউথ কোরিয়া, কানাডা, মৌরিতানিয়া, তানজানিয়া, অস্ট্রিয়া, রোয়ান্ডা, জিবুতি, সোমালিয়া, ইথিওপিয়া, নাইজেরিয়া, আফগানিস্তান, সাউথ সুদান ও বাহরাইন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২০ সালে দেশে করোনাভাইরাসের ব্যাপক প্রাদুর্ভাব সত্ত্বেও গত বছরের তুলনায় বিদেশি শিক্ষার্থী বেড়ে যাওয়ার প্রধান কারণ অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থার প্রসার। যার কারণে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, চীন, কানাডা থেকেও শিক্ষার্থীরা পড়তে এসেছিল এ দেশে।

ইউজিসির প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়, বিদেশি শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করার কারণে বহির্বিশ্বে যেমন বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হচ্ছে, তেমনি বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনও।

ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, ‘জবাবদিহি, দায়বদ্ধতা ও শৃঙ্খলার কারণে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে এগিয়ে রয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। শিক্ষার্থীরা ক্রেডিট-প্রতি টাকা পরিশোধ করছে। সেই অনুযায়ী ক্লাসও বুঝে নিচ্ছে। ডিজিটালাইজেশনের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা কো-অর্ডিনেশন করছেন তারাও বেশ যত্নশীল।’

ড. বিশ্বজিৎ চন্দ আরও বলেন, ‘একাডেমিক ক্ষেত্রেও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বেশি যত্নশীল। র‌্যাঙ্কিং নিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেভাবে কাজ করছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সেভাবে করছে না। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনলাইনেও আপডেট থাকে।’

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.