দুই ক্যাটাগরিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ৪২ শিক্ষার্থী গবেষণা প্রকল্পের জন্য ‘জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ’ পেয়েছেন। তারা ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচিত শিক্ষর্থীরা এমএসসি ক্যাটাগরিতে প্রত্যেকে ৫৪ হাজার টাকা ও পিএইচডি ক্যাটাগরিতে ৩ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা পাবেন। বিষয়টি বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব বিদ্যুৎ চন্দ্র আইচ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি মারফত জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায় এ বছর সারা দেশে মোট ৬৮২টি গবেষণা প্রকল্পের অনুদানের জন্য নির্বাচিতদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
তারা ২০২২-২৩ অর্থবছরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক ফেলোশিপ পেয়েছেন। ৪২ জনের মধ্যে ২৯ জনই বায়োটেকনোলজি বিভাগ থেকে পেয়েছেন। তারা হলেন— সাবিহা তাসবির রহমান, রাসেল রানা, সুমাইয়া জেসমিন, ফাহমিদা রহমান, ফাহমিদা আক্তার, হাফসা হেনা স্বর্ণালি, নাহিদুল ইসলাম, মেহেরাব হোসেন ফাহিম, মাসুদুর রহমান, নুরুন্নবী ইসলাম, লাবনি ইয়াসমিন, লিজা খাতুন, নাজমুল হুদা, আল-আমিন মিলন, শেখ মো. মইন ইসলাম, তানিয়া খাতুন, পূজা রানি ঘোষ, সাব্বির আহমেদ, রুমানা আক্তার রুমা, সাব্বির আহমেদ, হুসাইন আলী, রওনক জাহান রাখি মনি, মাসুমা আঞ্জুমান, শাহারিন সুলতানা, কাঞ্চন আক্তার, শহিদুল ইসলাম, নাসরিন ইসলাম মুন, হাসান মাহফুজ রেজা, রিজওয়ান আল হাসিব তুহিন।
ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের ছয় জন হলেন— শাকিল আহমেদ, মিফতাহুল জান্নাত, হনুফা খাতুন, শারমিন আক্তার, তারিকুল ইসলাম, তাহমিনা খন্দকার মিতু। গণিত বিভাগের তিন জন— আতিকুর রহমান, সৌরভ কুমার ঘোষ, দেলোয়ার হোসেন। ইইই বিভাগের দুই জন— ধতাসনিমা ইসলাম, হেমায়েত ইসলাম। পরিসংখ্যান বিভাগের জাহিদ হাসান ও ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের মাহেদী হাসান রানা।
উল্লেখ্য, ১৯৭৭-৭৮ অর্থবছর থেকে গবেষণা কার্যক্রমকে আরও এগিয়ে নিতে ভৌত বিজ্ঞান, জীব ও চিকিৎসাবিজ্ঞান, খাদ্য ও কৃষি বিজ্ঞান এই তিনটি ক্যাটাগরিতে শিক্ষার্থী ও গবেষকদের ফেলোশিপ প্রদান করা হয়। তিন ক্যাটাগরির নির্ধারিত কমিটি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ও গবেষণারত এমএস, এমফিল, পিএইচডি, পোস্ট-ডক্টরাল শিক্ষার্থী ও গবেষকদের আবেদন গ্রহণ, যাচাই-বাছাই ও সাক্ষাৎকার গ্রহণের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এই ফেলোশিপ প্রদান করে থাকে।