The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বুধবার, ১৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪

বিজিবিতে আয়নাঘরের দাবি অপপ্রচার : সদরদপ্তর

ডেস্ক রিপোর্ট: বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি) আয়নাঘর ছিল দাবি করে বাহিনীর বরখাস্ত সিপাহী শাহীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যে অভিযোগ দিয়েছে তা নজরে এসেছে বিজিবি সদরদপ্তরের। বিজিবি বলছে, পিলখানায় আয়নাঘরের কোনো অস্তিত্ব নেই। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এমন অভিযোগ এনে দেশপ্রেমিক বিজিবিকে বিতর্কিত করার চেষ্টা চলছে।

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বিজিবির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ দাবি করা হয়।

ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ তাদের শৃঙ্খলা, পেশাদারিত্ব এবং নিষ্ঠার সঙ্গে সর্বদা দেশের সুরক্ষা করে চলেছে। কিন্তু সম্প্রতি বরখাস্ত সিপাহী শাহীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিজিবির বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন। যা একান্তভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ভিত্তিহীন। বরখাস্ত হওয়া সিপাহী শাহীনের বিরুদ্ধে বিজিবির শৃঙ্খলা ও মর্যাদার সম্পূর্ণ পরিপন্থি গুরুতর অপরাধের প্রমাণ রয়েছে।

‘শাহীন একজন বিবাহিত ও দুই সন্তানের জনক হওয়া সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ ও স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া ২০২২ সালের ৩০ জুন সোনিয়া আক্তার নামে এক নারীকে বিয়ে করেন। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে উম্মে তাসনিম ও খাদিজা নামে আরও দুজন নারীকে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে সম্পর্ক স্থাপন করেন; যা শাস্তিযোগ্য অনৈতিক কর্মকাণ্ড।’

বিজিবি ওই পোস্টে আরও জানিয়েছে, বরখাস্ত বিজিবি সদস্য শাহীন সংবাদ সম্মেলনে নিজেকে অত্যন্ত ধার্মিক হিসেবে উপস্থাপন করেন এবং অভিযোগ করেন তাকে ধর্ম পালনে নিরুৎসাহিত করা হয়েছিল, যা সত্য নয়।

‘উল্লেখ্য একজন ধার্মিক ব্যক্তির পক্ষে এরূপ অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়া অত্যন্ত প্রশ্নবিদ্ধ একটি বিষয়। এছাড়াও বরখাস্ত সিপাহী শাহীন অনুমতি ব্যতীত পেশাগত পরিচয় গোপন করে কৃষক সেজে জাতীয় পাসপোর্ট তৈরি করেন, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে প্রতীয়মান। অপর একটি গুরুতর বিষয় হলো– তিনি কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট সমর্থিত নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল্ হিন্দাল শ্বারকীয়ার মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাহিনীর অন্য সদস্যদেরকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন। যা দেশ ও বাহিনীর নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। শাহীনের বড় ভাই আবু হুরায়রা এ সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে রাঙামাটি জেলে আটক ছিলেন বলে জানা যায়।’

গুম হওয়ার বিষয়ে সিপাহী শাহীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করেন, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও কল্পনাপ্রসূত জানিয়ে বিজিবি বলছে, বিভাগীয় তদন্ত কার্যক্রম চলাকালীন সম্পূর্ণ সময় তিনি রামগড় বিজিবি ব্যাটালিয়নের কোয়ার্টার গার্ডে অবস্থান করেছিলেন এবং ব্যাটালিয়নের সদস্যদের চোখের সামনেই ছিলেন। বাহিনীর সদস্য হিসেবে তিনি নিয়মিত বেতনও গ্রহণ করেছেন। সেখানে তিনি প্রায়ই পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে ব্যাটালিয়ন ক্যান্টিনের মোবাইলে যোগাযোগ রক্ষা করেছেন। পিলখানায় অবাস্তব আয়নাঘরের অভিযোগ এনে তিনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দেশপ্রেমিক বিজিবিকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছেন। বিচার চলাকালীন তাকে কখনোই বিজিবি সদরদপ্তর, পিলখানায় আনা হয়নি।

‘বিজিবিতে সংঘটিত অপরাধের বিরুদ্ধে যথাযথ বিজিবি আইন ও তদন্তের মাধ্যমে বিচারকার্য সম্পন্ন হয়। সিপাহী শাহিনের বিরুদ্ধেও একই প্রক্রিয়ায় বিচার সম্পন্ন হয়েছে। যথাযথ তদন্ত কার্যক্রম ও বর্ডার গার্ড আদালতের মাধ্যমে তার বিচারকার্য সম্পন্ন করা হয়েছে। বিজিবির বিচার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও আইনগত। কিছু অদৃশ্য মহল, সীমান্তে টানটান উত্তেজনা চলাকালীন এ ক্রান্তিকালে বিজিবির মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছেন, যা বিজিবির ভাবমূর্তি ও শক্তিকে খর্ব করার হীন অপচেষ্টা মাত্র।’

ফেসবুক পোস্টে আরও বলা হয়েছে, বিজিবি দেশের সীমান্ত ও আইনশৃঙ্খলা সুরক্ষায় আপসহীন। আমাদের বাহিনী অত্যন্ত সুশৃঙ্খল, দায়িত্বশীল এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যেকোনো অপরাধী বা দুর্নীতিবাজ সদস্যের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। বিজিবি নিজেদের প্রতিষ্ঠিত নৈতিকতা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় বদ্ধপরিকর।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.