সাকিবুল ইসলাম, জবি প্রতিনিধি: রাত পোহালেই মহান বিজয় দিবস। বিজয় দিবস ঘিরে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতেছে জাতি। এ উপলক্ষে রাজধানীর পুরান ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিস ও স্থাপনায় করা হয়েছে লাল-সবুজ আলোকসজ্জা। দেশের অন্যতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) লাল-সবুজ আলোয় ঝলমল করছে ক্যাম্পাসের আঙিনা। ঝলমলে রঙিন আলোয় প্রতিফলিত হচ্ছে বিজয়ের প্রতিচ্ছবি।
সরেজমিনে দেখা যায়, লাল-সবুজ আর নীল রঙের আলোকসজ্জায় সেজেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা প্রাঙ্গন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক, ফটকের দুইপাশের দেয়াল থেকে শুরু করে শেষ প্রান্ত পর্যন্ত, নতুন একাডেমিক ভবন, একাত্তরের গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি ভাষ্কর্য, ভাষা শহীদ রফিক ভবন, অবকাশ ভবন সেজেছে সবুজ আলোয়। মাঝের প্রশাসনিক ভবন লাল আলোয় সাজানোয় ফুটে উঠেছে লাল-সবুজের পতাকার প্রতিচ্ছবি। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারও সেজেছে লাল সবুজে। শহীদ মিনারের সামনে লাল সবুজের আলোয় ফুটিয়ে তুলা হয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা।
সূর্য ঢলে পড়ার পর সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে ক্যাম্পাসে জ্বলে ওঠে লাল-সবুজ আলো। আলোকসজ্জায় রঙিন ক্যাম্পাস যেন পরিণত হয়েছে একখণ্ড লাল সবুজের পতাকায়। সন্ধ্যা থেকেই ক্যাম্পাস ঘুরে ঘুরে বর্ণিল আলোকসজ্জা দেখে বেড়াচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। মনকড়া এমন আলোকসজ্জায় মুগ্ধ সবাই। ঘুরে দেখার পাশাপাশি আবার অনেকে সুন্দর এ দৃশ্য ক্যামেরায় ধারণ করছেন। বিজয়ের উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছেন সবাই। বিজয় দিবসকে বরণ করে নিতেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বর্ণিল সাজ। লাল, সবুজ, সাদাসহ বিভিন্ন রঙে সেজেছে পুরো ক্যাম্পাস। দলবেঁধে আলোকসজ্জায় ঘেরা রাতের ক্যাম্পাস দেখতে এসেছেন অনেক শিক্ষার্থী।
এদিকে সন্ধ্যার পর থেকেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মাইকে বাজানো হচ্ছে দেশাত্মবোধক গান। আলোকসজ্জা দেখতে আসা দর্শনার্থীরাও ঠোঁট মেলাচ্ছেন গানের সাথে। পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে এক উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন রঙের আলোকসজ্জায় ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। সন্ধ্যা থেকেই ক্যাম্পাস ঘুরে ঘুরে বর্ণিল আলোকসজ্জা দেখে বেড়াচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। মনকড়া এমন আলোকসজ্জায় মুগ্ধ সবাই। ঘুরে দেখার পাশাপাশি আবার অনেকে সুন্দর এ দৃশ্য ক্যামেরায় ধারণ করছেন।
আলোকসজ্জা দেখতে আসা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ ইবনে সাইম বলেন, ‘মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে পুরো ক্যাম্পাস লাল-সবুজের আলোকসজ্জায় সাজানো হয়েছে। সবুজ-শ্যামল বাংলাদেশের লাল-সবুজের জাতীয় পতাকার সৌন্দর্য্য ফুটিয়ে তুলা হয়েছে। সুন্দর লাগছে।
আরেক শিক্ষার্থী ইউছুব ওসমান বলেন, ক্যাম্পাসে মনকড়া এমন আলোকসজ্জায় মুগ্ধ সবাই। বাইরে থেকে দর্শনার্থীরা এসেও বিজয়ের উল্লাসে মেতেছেন। বিভিন্ন রঙ ও বর্ণের এসব আলোকসজ্জা উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।
সাফা আক্তার নামের আরেক দর্শনার্থী বলেন, ‘ত্রিশ লক্ষ মানুষের রক্তের বিনিময়ে এই বিজয় অর্জন করেছি। লালা-সবুজের পতাকা পেয়েছি। মহান বিজয় দিবসে লাল-সবুজের এই সাজ আমাদের শহীদ যোদ্ধাদের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। তাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।’
এবিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ক্যাম্পাস সাজানো হয়েছে। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার আলোকে লাল-সবুজের প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তুলার চেষ্টা করা হয়েছে।’
বিজয়ের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ভবনে লাল সবুজের আলো মেখে বিজয়ের বরণ করে নিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। আমরা বিজয় দিবস উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছি।
এছাড়াও পুরান ঢাকার কবি নজরুল সরকারি কলেজের পুরো ক্যাম্পাসজুড়েও বাহারি রঙের ছড়াছড়ি। সমগ্র ক্যাম্পাস মেতেছে যেন বিজয়ের উল্লাসে। আলোকসজ্জায় রঙিন ক্যাম্পাস পরিণত হয়েছে একখণ্ড লাল সবুজের পতাকায়। আলোরও আছে নিজের ভাষা। সে ভাষায় লাল সবুজ মানেই প্রিয় বাংলাদেশ। তাই আলোয় এই দুই রঙের প্রভাবই একটু বেশি। তবে আনন্দের এই রঙিন শহরে ঠাঁই হয়েছে নীল-হলুদসহ বাহারি আলোর।
এছাড়াও পার্শ্ববর্তী সরকারী সোহরাওয়ার্দী কলেজ ক্যাম্পাসও পরিণত হয়েছে একখণ্ড লাল সবুজের পতাকায়। আলোরও আছে নিজের ভাষা। সে ভাষায় লাল সবুজ মানেই প্রিয় বাংলাদেশ। তাই আলোয় এই দুই রঙের প্রভাবই একটু বেশি। তবে আনন্দের এই রঙিন শহরে ঠাঁই হয়েছে নীল-হলুদসহ বাহারি আলোর।
এদিকে বিজয়ের দিন ঘিরে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতেছে পুরো বাঙালি জাতি। এ উপলক্ষে রাজধানীর পুরান ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিস ও স্থাপনায় করা হয়েছে লাল-সবুজ আলোকসজ্জা।