The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
মঙ্গলবার, ২৮শে জানুয়ারি, ২০২৫

‘যদি মারা যাই, বিজয়ের পতাকা কবরে দিও’ সাগর এইচএস‌সি পাস করেছেন

গত ৫ আগস্ট শেষবেলায় ঢাকার উত্তরার জসিম উদ্দিন ফ্লাইওভার এলাকায় এলোপাথারি গুলিতে নিহত হয় সাগর।

সে পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের পূর্ব পাড় ডাকুয়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে।

ছেলের ফলাফল শুনে এ সময় আবেগ-আপ্লুত হয়ে পড়ে বাবা মাসহ পরিবারের সদস্যরা। সাগরের মা ছেলের কবরের কাছে গিয়ে কান্নায় ভেড়ে পড়েন।

জানা যায়, বাবা সিরাজুল ইসলাম গাজী পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি ও মা সাহিদা বেগম গৃহিণী। সাগর তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট। সে ২০২১ সালে এসএসসি পরীক্ষায় উপজেলার উলানিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের মানবিক বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ হয়। ২০২৩ সালে একই কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে একটি বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে পারে নাই। এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় সেই বিষয়ে অংশ নেন সাগর। নিহতের দুই মাস আগে উত্তরা এলাকায় সিটি অনলাইন কোম্পানিতে চাকরিতে যোগদান করে।

ছেলের রেজাল্ট পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন সাগরের মা শা‌হিদা বেগম। তিনি জানান, তার ছেলে বেচে থাকলে রেজাল্ট পেয়ে অনেক খুশি হতো। ছেলে বলতো একসময় সেই পরিবারের হাল ধরবে। পরিবার নিয়ে কত কথা বলতো সে। পড়াশোনা শেষ করে সাগর ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখতো বলেও জানান তিনি।

নিহত সাগ‌রের রেজাল্ট পেয়ে খুশি তার বড় ভাইও। কিন্তু শোকাহত প‌রিবে‌শে স্তব্ধ হয়ে আছেন তিনি। সাগরের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেলো। এ সময় আবেগাপ্লুত হয়ে ভাই হত্যার বিচার চান তিনি

কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় কর্মী ছিল সাগর। মৃত্যুর একদিন আগে তার ফেসবুকের প্রোফাইলে পোস্ট দিয়েছিলেন, ‘আজ যদি আমি মারা যাই, বিজয়ের পর আমার কবরে একটা পতাকা দিয়েন।’ তার শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী, তার কবরের সামনে টানানো হয়েছিল জাতীয় পতাকা।

 

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.