রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ করছেন। তারা প্রশাসনিক ভবন ও পুরকৌশল অনুষদের ডিন কামরুজ্জামান রিপনের রুমে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
আজ বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকেই প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা।
দাবীসমূহ :
কিছু স্বার্থান্বেষী শিক্ষক নামে দানবের থাবা থেকে রক্ষায়, বর্তমান এবং পরবর্তী রুয়েটিয়ান প্রজন্মের কল্য আমাদের উত্থাপিত দাবি সমূহ –
১। পরবর্তী সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার খাতায় কোডিং সিস্টেম চালু করতে হবে এবং এ বিষয়ক প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। যাতে মূল্যায়ন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হয়।
২। সেমিস্টারের রেজাল্ট ও গ্রেডশীট দ্রুত প্রকাশ করতে হবে এবং খাতা রিভিউ করার সুযোগ দিতে হবে।
৩। রুয়েটের যেসকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে বিভিন্ন অভিযোগ আছে তাদের অনতিবিলম্বে সাময়িক বহিষ্কার এবং অতি দ্রুত তদন্তের সাপেক্ষে স্থায়ী বহিষ্কার করে আইনত ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া ছাত্রলীগের পোস্টেড নেতা সৌমিক, লতিফ সহ আরোও যারা ছিল এদের ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে।
৪। শিক্ষকদের নিয়মিত ক্লাস পরিচালনা নিশ্চিত করতে হবে; ৩-৪ দিনের ক্লাস নিয়ে পুরো সেমিস্টারের উপস্থিতি গণনা করা যাবে না। যদি শিক্ষকের ব্যস্ততা/অনুপস্থিতির কারণে কোনো ক্লাস মিস যায়, তবে সেক্ষেত্রে সকল শিক্ষার্থীকে ঐদিনের এটেন্ডেন্স দিতে হবে এবং কোনোদিন এক্সট্রা ক্লাস নিলে তা ১টা ক্লাসের এটেন্ডেন্স হিসাবে কাউন্ট করতে হবে।
৫। প্রতি মাসে প্রতিটি ডিপার্টমেন্টে শিক্ষার্থীদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা সেশন আয়োজন করতে হবে, যা শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক হবে। এছাড়াও প্রতিটি ডিপার্টমেন্টের শিক্ষকদের নিয়ে প্রতি মাসে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সেমিনার আয়োজন করতে হবে।
৬। হজোর মোড়ের ঘটনায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চার্জশিট প্রদান করার কথা থাকলেও চার্জশিট প্রদান করা হয়নি। অতি দ্রুত সেই মামলার বাকি কার্যক্রম শুরু করতে হবে এবং কয়েট ক্যাম্পাস ও আশেপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে হবে।
৭। ইচ্ছাকৃত ভাবে পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের অকৃতকার্য করার দায়ে মোঃ গোলাম মোস্তাকিম ও সিভিল ফ্যাকাল্টির ডিন মো: কামরুজ্জামান রিপন সহ অভিযুক্ত সকল শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
৮। শিক্ষকদের শিক্ষার্থীদের প্রতি সদাচরণ করতে হবে এবং শিক্ষকদের কার্যক্রমের মূল্যায়ন ও জবাবদিহিতার ব্যবস্থা থাকতে হবে।
৯। অনতিবিলম্বে জমাকৃত ১২ দফার বাস্তবায়ন করতে হবে।