বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) পদে নিয়োগ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শাহিনুল আলম।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ কামাল হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও আচার্যের অনুমোদনক্রমে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯৮’ এর ১৫(১) ধারা অনুসারে হেপাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শাহিনুল আলমকে বর্ণিত শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যের (একাডেমিক) শূন্যপদে নিয়োগ করা হলো।
অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শাহিনুল আলম এক বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের অধিকারী। তিনি শুধু দেশেই নয়, দেশের সীমান পেরিয়ে তিনি অস্ট্রেলিয়া, জাপান, চীন, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, পাকিস্তান, ভারতে বিজ্ঞানীদের সাথে অনেক গবেষণা পত্র রচনা করেছেন। বর্তমানে তিনি বিএসএমএমইউ-এর নেতৃস্থানীয় একজন গবেষক।
প্রফেসর মোঃ শাহিনুল আলম হেপাটোলজি সোসাইটি, ঢাকা, বাংলাদেশ-এর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন ২০০৯ সাল থেকে দ্বিবার্ষিকভাবে আন্তর্জাতিক হেপাটোলজি কনফারেন্স আয়োজন করে আসছেন। তিনি “Dietary Advice for Fatty Liver Patients of Bangladesh” বিষয়ে ফুড পিরামিডের কপিরাইট অর্জন করেছেন।
তিনি এশিয়ান প্যাসিফিক অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য স্টাডি অফ দ্য লিভার (এপিএএসএল), ইউরোপীয় অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য স্টাডি অফ দ্য লিভার (ইএএসএল), ইন্ডিয়ান সোসাইটি অফ গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজির আজীবন সদস্য, ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশনের আজীবন সদস্য। দ্য স্টাডি অফ দ্য লিভার (আইএনএএসএল), ব্রিটিশ সোসাইটি অফ গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি (বিএসজি) এর সহযোগী সদস্য, সদস্য, ইউরোপীয় সোসাইটি অফ গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল এন্ডোস্কোপি (ইএসজিই) এবং একজন আজীবন সদস্য, ইন্ডিয়ান সোসাইটি অফ গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল এন্ডোস্কোপি (আইএসজিই)।
তিনিই বাংলাদেশের একমাত্র চিকিৎসক যিনি বাংলাদেশে চিকিৎসা অর্থনীতি নিয়ে কাজ করছেন। বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত/নিম্ন আয়ের লোকেরা কিভাবে একটি বড় অস্ত্রোপচার বা হাসপাতালে ভর্তির জন্য তাদের জীবনের সঞ্চয় ব্যয় করে এবং সম্পূর্ণ অর্থহীন হয়ে পড়ে! তিনি এই ঘটনাগুলোকে পর্যালোচনা করে মূল্যবান গবেষণা পরিচালনা করেছেন। তিনি ‘Bangladesh healthcare finance in comparison to global healthcare financing policy’ বইটির লেখক। এছাড়াও তিনি একাধিক বই ও গবেষণাপত্র লিখেছেন।