নওগাঁর পোরশা উপজেলার নিতপুর সীমান্তের ওপারে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক আল-আমিনের (৩৮) মরদেহ ফেরত দিয়েছে ভারত। পতাকা বৈঠকের একদিন পর বুধবার (২৭ মার্চ) রাত ৮টা ১৫ মিনিটে জেলার সাপাহার উপজেলার হাঁপানিয়া সীমান্ত ফাঁড়ি (বিওপি) সংলগ্ন কৃষ্ণসদা এলাকায় সীমান্তের শূন্যরেখায় এসে মরদেহটি বিজিবির কাছে পৌঁছে দেন বিএসএফের সদস্যরা।
গণমাধ্যমকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) নওগাঁ-১৬ ব্যাটালিয়নের আওতাধীন নিতপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মাহফুজুর রহমান।
তিনি বলেন, গতকাল রাতে সাপাহার উপজেলার কৃষ্ণদা গ্রামে সীমান্তের ২৩৬ প্রধান স্তম্ভের (মেইন পিলার) কাছে বিজিবি ও বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়। এরপর রাত ৯টার দিকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতেই মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিএসএফের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ওই যুবকের শরীরে দুইটি বুলেট বিদ্ধ হয়। এতে তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা ও বিজিবি সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় আল আমিন আরও কয়েকজনের সঙ্গে নিতপুর সীমান্ত এলাকার ২৩২ নম্বর প্রধান স্তম্ভের (মেইন পিলার) পাশ দিয়ে ভারতের ভেতরে প্রবেশ করেন। ভোর সাড়ে ৪টায় তাদের অবৈধ অনুপ্রবেশ নজরে এলে পোরশার নিলমারি মাঠ থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে ভারতের মালদা জেলার ডরলা সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ-১৫৯ ব্যাটালিয়নের অওতাধীন কেদারীপাড়া ক্যাম্পের সদস্যরা তাদেরকে লক্ষ করে বুলেট ছোড়ে। এসময় অন্যরা পালিয়ে এলেও বিএসএফের ছোড়া গুলিতে আল আমিন নিহত হন। এরপর থেকেই মরদেহটি দেশে ফিরিয়ে আনতে দফায় দফায় বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিল বিজিবি।